অমিত শাহ একাই নন, কেন কোভিড মুক্ত অনেক রোগীকেই ফের ফিরতে হচ্ছে হাসপাতালে
তিনদিন আগেই কোভিড-১৯ মুক্ত বলে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে। মঙ্গলবার তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। জানা গিয়েছে খুবই দুর্ববল বোধ করছেন অমিত, সঙ্গে সারা শরীর জুড়ে রয়েছে ব্যথা। তবে চিকিত্সকরা বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একাই নন, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া অনেক রোগীকেই জ্বর, দুর্ববতা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
| Published : Aug 18 2020, 09:11 PM IST / Updated: Aug 23 2020, 09:11 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
জানা গিয়েছে দিল্লির অন্তত পাঁচ শতাংশ কোভিড মুক্ত রোগীকেই বিভিন্ন জটিলতার কারণে ফের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে কারোর দেখা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে ঘুসঘুসে জ্বর, যা সারতে সময় লাগছে দুই থেকে তিন সপ্তাহেরও বেশি। এছাড়া রয়েছে শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথা, হাড়ের সংযোগে ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা, খিদে না থাকা, খাবারের স্বাদ না পাওয়ার মতো সমস্যা।
দেখা যাচ্ছে যেসব রোগীর দেহে ভাইরাল সংক্রমণ সবচেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে, তাঁদেরকেই দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে উপরোক্ত সমস্যাগুলি নিয়ে। অসংগঠিতভাবে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কোভিড চিকিত্সার জন্য যাঁদের আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হয়েছিল, তাঁদের অন্তত ৪০ শতাংশ সুস্থ হওয়ার পর শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং শারীরিক দুর্বলতার মতো সমস্যায় ভুগছেন।
চিকিৎসক একাংশ অবশ্য এর কারণ যে কোভিড-ই তা এখনই মেনে নিতে নারাজ। তাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, বর্ষার মৌসুম চলছে। এই সময়ে এমনিতেই এই জাতীয় শারীরিক সমস্যার অনেক অভিযোগ আসে। কাজেই কোভিডের কারণেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে তা বলার মতো এখনও সময় আসেনি বলছেন তাঁরা।
চলতি মাসের শুরুতে চিনা সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছিল, উহান শহরে অন্তত ১০০ জন কোভিড মুক্ত রোগীকে নিয়ে একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ রোগীরই ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে কোভিড-এ ফলে।
গত জুলাই মাসে জামা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ইতালীয় গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, ৮৫ শতাংশ কোভিড মুক্ত রোগীর ক্ষেত্রেই প্রথম কোভিড উপসর্গ দেখা যাওয়ার দুইমাস পরেও অন্তত একটি কোভিড লক্ষণ রয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল দুর্বলতা এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা। গবেষণাটি হয়েছিল ১৪৩ জন রোগীকে নিয়ে।
Pulmonary Fibrosis
সমস্যা হল ফুসফুসের এই ক্ষতি আগে থেকে প্রতিরোধ করার উপায়ও নেই। ফুসফুসে যে ক্ষত তৈরি হচ্ছে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। এদিকে পালমোনারি ফাইব্রোসিস-এর চিকিত্সা আর কোভিড-১৯'এর চিকিৎসা একেবারে আলাদা। আগে থেকে বোঝা গেলে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি-ফাইব্রোসিস ড্রাগ বা স্টেরয়েড দিয়ে এই অবস্থা ঠেকানো যেত।