৩ ভয়ঙ্কর জঙ্গির মুক্তির বিনিময়ে ১৬০ জন যাত্রীর প্রাণরক্ষা, কতটা সঠিক ছিল বাজপেয়ীর সিদ্ধান্ত
First Published Dec 24, 2020, 1:21 PM IST
দুই দশক আগের কথা। ১৯৯৯ সালের বছরের শেষ রাত। ভারতীয় কারাগার থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে মুক্তিপ্রাপ্ত তিন সাংঘাতিক জঙ্গিকে নিয়ে আফগানিস্তান উড়ে গিয়েছিলেন ভারতের তত্কালীন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিং। তার মাত্র আট দিন আগে, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট আইসি ৮১৪ হাইজ্যাক করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। ১৬০ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের পণবন্দি করে মুক্তির দাবি করা হয়েছিল ওই তিন সন্ত্রাসবাদীর। দুই দশক পর ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা-

ক্রিসমাসের ঠিক আগের দিন, নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে আসার জন্য ওই অভিশপ্ত বিমানে উঠেছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু ভারতীয় আকাশে প্রবেশের পরই পাঁচজন সশস্ত্র জঙ্গি কেবিন ক্রু এবং পাইলটদের মাথায়. বন্দুক ঠেকিয়ে বিমানটিকে পশ্চিমে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বিমানের ক্যাপ্টেন দেবী শরণ বিমানের গতি ৪০ শতাংশ কমিয়ে, জ্বালানি কমের অজুহাতে বিমানটিকে অমৃতসরে অবতরণ করিয়েছিলেন।

ইতিমধ্যে খবর গিয়েছিল নয়াদিল্লিতে, তৈরি হয়েছিল একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাবিনেটন সচিব প্রভাত কুমার। এছাড়া 'র' প্রধান এ.এস. দুলাত, এনএসজি প্রধান, উপ প্রধানমন্ত্রী এল কে আদবানি; বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিং; অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী শরদ যাদব এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা অরুণ শৌরি ছিলেন সেই দলে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ছিলেন না প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজ। প্রায় ১০০ মিনিট পর জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী-কে।
Today's Poll
একসঙ্গে কতজন প্লেয়ারের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করেন