- Home
- World News
- International News
- ১৫ অগাস্ট শুধু ভারত নয়, স্বাধীনতা দিবস পালন করে আরও বহু দেশ, জেনে নিন সেই বিশেষ নামগুলি
১৫ অগাস্ট শুধু ভারত নয়, স্বাধীনতা দিবস পালন করে আরও বহু দেশ, জেনে নিন সেই বিশেষ নামগুলি
- FB
- TW
- Linkdin
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র বাহরিনের স্বাধীনতা দিবসও ১৫ অগাস্ট। ভারতের সঙ্গে এই দেশের আরও একটি মিল রয়েছে। আমাদের দেশের মতো এই দেশটিও মুক্ত হতে পেরেছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের শাসন থেকে।
৫০টি প্রাকৃতিক এবং ৩৩টি কৃত্রিম দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে বাহরিন। ২০২০ সালের জনগণনা অনুয়ায়ী, বাহরিনের জনসংখ্যা বর্তমানে সাড়ে ১৫ লক্ষের কাছাকাছি। সেই জনসংখ্যার প্রায় ৭১২,৩৬২ জনই ওই দেশের আদি বাসিন্দা।
বস্তুত, ১৯৭১ সালের ১৫ অগস্ট ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হয়েছিল বাহরিন। তবে, ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে, বাহরিনেের অটোমান সরকার এবং ব্রিটিশদের মধ্যে একটি চুক্তি হয়ে ১৯১৩ সালেই ওই দেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যদিও ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সেই স্বাধীনতা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৭১-এ রাষ্ট্রপুঞ্জে বিভিন্ন দেশের ভোটাভুটিতে শেষমেশ স্বাধীনতা পায় বাহরিন। যদিও কেউ কেউ বলেন, বাহরিনের স্বাধীনতা দিবস নাকি ১৪ অগস্ট। তবে এর পরের দিনটিকেই প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাহরিন আর ভারতের মতো ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা পেয়েছিল গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোও। কঙ্গোর জাতীয় দিবস হিসাবেও ১৫ অগাস্ট দিনটি পালিত হয়।
ভূখণ্ডের পরিমাপের নিরিখে আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কঙ্গো। আয়তনের নিরিখে এটি বিশ্বের ১১তম দেশ। এককালে ফরাসি উপনিবেশগুলির মধ্যে অন্যতম বড় দেশ ছিল এটি।
১৯৬০ সালে ফরাসিদের শাসন থেকে মুক্ত হয় কঙ্গো। ৮০ বছর ধরে এর শাসনক্ষমতা কবজায় রেখেছিল ফরাসি ঔপনিবেশিকরা। তবে স্বাধীনতা লাভের পরেও প্রায় ৫ বছর বহু আন্দোলনের জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতা থামছিল না মধ্য আফ্রিকার এ দেশটিতে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মার্কস-লেনিনপন্থী মতাদর্শে চালিত হলেও এক সময় তার অবসান হয়। ১৯৯২-তে বহুদলীয় সরকার কঙ্গোর শাসনক্ষমতায় আসীন হয়।
একটি বেশ অপরিচিত দেশের নাম লিকটেনস্টাইন। এটি কিন্তু একেবারেই কঙ্গোর বিপরীত। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলির তালিকায় এটি রয়েছে ৬ষ্ঠ স্থানে। ১৮৬৬ সালের ১৫ অগস্ট জার্মান শাসকদের হাত থেকে স্বাধীন হয় লিকটেনস্টাইন।
লিকটেনস্টাইন ১৮৬৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও সেই স্বাধীনতা উদযাপন করা শুরু হয়েছিল ১৯৪০ সাল থেকে। কাকতালীয় ভাবে, তার পরের দিনটি ছিল সে দেশের তৎকালীন যুবরাজ দ্বিতীয় ফ্রাঞ্জ জোসেফের জন্মদিন যিনি লিকস্টেনস্টাইনের শাসনভার সামলেছিলেন ১৯৩৮ সাল থেকে ২০০৯ সালে পর্যন্ত আমৃত্যু। ফলে স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনটিও অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে থাকেন গোটা দেশের মানুষ।
আয়তনের দিক থেকে খুব ছোট হলেও দেশের মাথাপিছু আয়ের নিরিখে বিশ্বের তালিকায় অনেকটাই উপরে রয়েছে লিকটেনস্টাইন। ২০১৯ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এ দেশে বাস করেন মাত্র ৩৮,৭৪৯ জন মানুষ। পশ্চিম সুইৎজারল্যান্ড এবং উত্তর ও পূর্বে অস্ট্রিয়ার প্রতিবেশী পাহাড়ঘেরা এই ছোট্ট দেশটি মাউন্টেন স্পোর্টসের জন্যও বিখ্যাত।
চল্লিশের দশকে একই দিনে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল কোরিয়া। জন্ম হয়েছিল উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা প্রাপ্তির দিনটিকে বলা হয় গোয়াংবকজিওল। এই শব্দটির অর্থ আলো পুনরুদ্ধারের সময়।
১৯৪৫ সাল থেকে উপনিবেশ হিসাবে জাপানিদের অধীন ছিল বিশাল কোরিয়া দেশ। ৩৫ বছরের জাপানের শাসনকালের অবসান হয়ে স্বাধীনতা পায় এ দেশটি। তবে ভারতের মতোই দু ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় দেশভাগের প্রবল যন্ত্রণা সইতে হয়েছে কোরিয়ানদেরও।
১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনটি ন্যাশনাল লিবারেশন ডে অব কোরিয়া নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ দিনেই জাপানের পরাজয় হয়েছিল।