- Home
- World News
- International News
- সামরিক ভাবে কতটা শক্তিশালী দেশের সেনা, জানেন কী বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলির তুলনায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত
সামরিক ভাবে কতটা শক্তিশালী দেশের সেনা, জানেন কী বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলির তুলনায় কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত
- FB
- TW
- Linkdin
আমেরিকা - সেনাবাহিনীর শক্তির নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। এই দেশের সামরিক খাতে খরচ প্রায় ৫৮৭ কোটি ডলার। ট্রাম্পের দেশে সক্রিয় সেনার সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখের বেশি। আর রিসার্ভ ফোর্স রয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ। এই দেশের এয়ারক্র্যাফট রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি। ট্যাঙ্ক রয়েছে প্রায় ৬ হাজার। নৌবাহিনির জাহাজ রয়েছে প্রায় ৪৫০ টি। যাদের এয়ারক্র্যাফট বহনকারী জাহাজ রয়েছে ১৯টি। ২০২০ সালে প্রতিরক্ষা খাতে মার্কিন-বাজেট বরাদ্দ- ৭০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। তথ্য বলছে, স্থলবাহিনীর পাশাপাশি বায়ুসেনাতেও বিশ্বের শীর্ষে মার্কিন মুলুক।
রাশিয়া - পুতিনের দেশে সামরিক খাতে খরচ প্রায় ৪৫ কোটি ডলার। এদের সক্রিয় সেনা সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। আর রিসার্ভ ফোর্স রয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ। এই দেশের এয়ারক্র্যাফট রয়েছে ৪ হাজারের বেশি। ট্যাঙ্ক রয়েছে প্রায় ২০ হাজার। নৌবাহিনির জাহাজ রয়েছে প্রায় ৩৫০ টি। যাদের এয়ারক্র্যাফট বহনকারী জাহাজ রয়েছে ১টি। তথ্য বলছে শক্তির দিক থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনী রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু পারমাণবিক দিক থেকে একেবারে প্রথম স্থানে।
চিন - এশিয়ায় বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ চিন। জিনপিংয়ের দেশের সামরিক খাতে খরচ প্রায় ১৬১ কোটি ডলার। এদের সক্রিয় সেনা সংখ্যা প্রায় ২২ লাখের বেশি। আর রিসার্ভ ফোর্স রয়েছে প্রায় ১৪ লক্ষ। এই দেশের এয়ারক্র্যাফট রয়েছে ৪ হাজারের বেশি। ট্যাঙ্ক রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। নৌবাহিনির জাহাজ রয়েছে প্রায় ৭১৪ টি। যাদের এয়ারক্র্যাফট বহনকারী জাহাজ রয়েছে ১টি। ২০২০ সালে প্রতিরক্ষা খাতে ২০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে চিন। তথ্য বলছে সামরিক দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন।
ভারত – চিন-ভারতের মধ্যে সত্যি সত্যি যুদ্ধ বাঁধলে কী হবে তা বলা সত্যিই কঠিন। কারণ বিশ্বে শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৬১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ভারতীয় বাহিনীতে সক্রিয় সেনার সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি। আর রিসার্ভ ফোর্স রয়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ। ভারতে এয়ারক্র্যাফট রয়েছে ২ হাজারের বেশি। ট্যাঙ্ক রয়েছে প্রায় ৭ হাজার। নৌবাহিনির জাহাজ রয়েছে প্রায় ৩০০ টি। যাদের এয়ারক্র্যাফট বহনকারী জাহাজ রয়েছে ২টি। তাই তথ্য বলছে সামরিক দিক থেকে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বহু দেশের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজেদের আরও পরিণত করেছে।
জাপান- বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে যুদ্ধে প্রস্তুত সেনার সংখ্যা ২৪৭,১৬০। শত্রু উত্তর কোরিয়ার থেকে সেনা সংখ্যার নিরিখে সামান্য এগিয়ে জাপান। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার ও আধুনিক অস্ত্রভান্ডারে জাপান অনেকটাই এগিয়ে। বিশ্বের পঞ্চম সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক দেশ জাপান। টোকিওর কাছে রয়েছে ১৫২ স্পেশাল মিশন এয়ারক্র্যাফ্ট। আমেরিকা ছাড়া এই পরিমাণ এয়ারক্র্যাফ্ট অন্য কোনও দেশের কাছে নেই। এছাড়াও রয়েছে ৪০টি রণতরী। ২০২০ সালে প্রতিরক্ষা বাজেটে ৪৯ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা জাপানের কাছে রয়েছে ১০০৪ ট্যাঙ্ক এবং ১১৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার।
পাকিস্তান- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা নতুন নয়। দুই দেশের মধ্যে ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে পুরোমাত্রায় যুদ্ধ হয়েছে। এছাড়া সীমিত আকারে কারগিলে যুদ্ধ হয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান চতুর্থ, অন্যদিকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৭ তম স্থানে।
ইউরোপের দেশগুলি- বিশ্বে সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রের তালিকায় ৬ থেকে ১০ মধ্যে ইউরোপিয় দেশগুলিরও প্রাধান্য রয়েছে। অধিকাংশই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশ। দশের পর প্রথম পাঁচে রয়েছে ইতালি, ইরান, ব্রাজিল, মিশর এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ। তালিকায় ২০ তম স্থানে রয়েছে কিমের দেশ উত্তর কোরিয়া।