- Home
- World News
- International News
- একসঙ্গেই বসল ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে - তালিবানিস্তানে শুরু হল পড়াশোনা, দেখুন ছবিতে ছবিতে
একসঙ্গেই বসল ছেলে-মেয়ে, তবে পর্দা দিয়ে - তালিবানিস্তানে শুরু হল পড়াশোনা, দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
সেই শিক্ষানীতি অনুযায়ী তালিবান শিক্ষা বিভাগ একটি নির্দেশনা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া মহিলাদের অবশ্যই হিজাব পরতে হবে। বা তারা আবায়া এবং নিকাব পরতে পারেন। বোরখা পরাটা বাধ্যতামূলক নয়। আবায়া এবং নিকাব কিংবা হিজাবেও মহিলাদের মুখের বেশিরভাগটাই ঢাকা থাকে। দিন সেই পোশাকেই দেখা গিয়েছে ছাত্রীদের।
তালিবান সরকারের ইংরেজি ভাষার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট, তালিব টাইমস এবং স্থানীয় নিউজ চ্যানেলগুলি টুইটারে এই আজব ক্লাসরুমের ছবি পোস্ট করেছে। সেই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে ক্লাসরুমে পুরুষ এবং মহিলা শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদাভাবে বসে লেকচার শুনছেন। আর ছেলে-মেয়েদের আসনের মাঝে রয়েছে একটি পর্দা, যাতে পুরুষ ও মহিলা শিক্ষার্থীরা পরস্পর পরস্পরকে দেখতে না পায়।
একইসঙ্গে তারা জানিয়েছিল তালিবানি শাসনে মহিলা অধ্য়াপিকারা শুধুমাত্র ছাত্রীদেরই পড়ানোর সুযোগ পাবেন। আর ছাত্রীদেরও শুধুমাত্র মহিলা শিক্ষিকাদের কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে 'ভাল চরিত্রের বৃদ্ধ শিক্ষকরা' সেই অভাব পূরণ করতে পারে।
তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে বারবার জোর দিয়ে বলেছিল, নারী-শিক্ষা নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা করাটাই যত নষ্টের মূল। ক্লাসঘরে ছেলে-মেয়েদের পর্দা দিয়ে আলাদা বসতে হবে, এটাই তালিবানের সর্বশেষ শিক্ষানীতি।
২০০১ সালে প্রথম তালিবানি শাসনের অবসানের পর আফগানিস্তানে ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। গত ২০ বছরে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগান শিক্ষার্থীদের ভর্তির হারও দারুণভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ছাত্রীর সংখ্যা। অগাস্ট মাসে তালিবানরা কাবুল দখলের আগে পর্যন্তও আফগান মহিলারা, পুরুষদের সঙ্গে পাশাপাশি বসেই ক্লাস করতেন। পুরুষ অধ্যাপকদের লেকচার শুনতেও বাধা ছিল না। তবে, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে একের পর এক হামলার ফলে আতঙ্কিতও ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তালেবান হামলার পেছনে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্থানীয় অধ্যায় দাবি করেছে।
২০ বছর আগে প্রথম তালিবানি শাসনে মহিলাদের উচ্চশিক্ষা থেকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। তালিবানরা পরে জানিয়েছে ের প্রধান কারণ ছিল, শ্রেনিকক্ষে একসঙ্গে ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করার সমস্যা। দ্বিতীয়ত, পুরুষ আত্মীয় ছাড়া মহিলাদের বাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ ছিল। ই সকল কারণেই তারা মহিলাদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল।
মহিলাদের শুধু যে আলাদাভাবে পড়াশোনা করতে হবে তাই নয়। তাদের পুরুষদের থেকে পাঁচ মিনিট আগে ক্লাসের পাঠ শেষ করতে হবে। তারপর তাদের যেতে হবে একটি অপেক্ষা করার ঘরে। সেখানে অপেক্ষা করতে হবে, কতক্ষণে সব পুরুষ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ ভবন থেকে বের হয়। এভাবেই যাতে তারা ক্লাসের বাইরেও কোনওভাবে পুরুষদের সঙ্গে মিশতে না পারে, তার ব্যবস্থা করেছে তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক।
তালিব টাইমস জানিয়েছে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরশাহির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আবার পড়াশোনা শুরু হয়েছে। তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছিল পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা আলাদা বসার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সেই নিয়ম অনুসরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চালু করা হয়েছে।