- Home
- World News
- International News
- অ্যাশট্রেতে কৃত্রিম যোনি লাগিয়ে সঙ্গম, তবু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কই হয় না এই বডিবিল্ডারের, দেখুন
অ্যাশট্রেতে কৃত্রিম যোনি লাগিয়ে সঙ্গম, তবু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কই হয় না এই বডিবিল্ডারের, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯ সালে একটি সিলিকনের তৈরি সেক্স ডল কিনেছিলেন তোলোচকো। তার নাম দিয়েছিলেন মার্গো। একসময় তিনি সিলিকনের পুতুলটির প্রেমে পড়ে যান। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে সেই 'সম্পর্ক চলার পর ২০২০-র মার্চ মাসে সেই সেক্স ডলকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সম্মতি দিয়েছিল মার্গো।
তবে সেইসময় করোনাভাইরাস মহামারি একেবারে পুর্ণ শক্তিতে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কারণে তাদের বিয়ে তখনই হয়নি। তার উপর ২০২০ সালের অক্টোবরে একটি ট্রান্সজেন্ডারদের মিছিলে তোলোচকো-র উপর হামলা হয়েছিল। এই সমস্ত বাধার কারণে তাদের আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষার করতে হয়েছিল। অবশেষে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তাদের বিয়ে হয়। সেই অনুষ্ঠানের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল।
দুর্ভাগ্যক্রমে, তাদের এই বিয়ে খুব বেশি দিন টেকেনি। ২০২১ সালের মার্তচ মাসে তোলোচকো সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তাদের বিচ্ছেদের কতা। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তিনি ইতিমধ্যে অন্য ক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। বস্তুত, তাদের বিয়ে ভাঙার পিছনে তোলোচকোর সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেরও ভূমিকা ছিল।
কাজাক বডি বিল্ডার জানিয়েছিলেন, কয়েকমাস ধরে উদ্দাম যৌনতার পর 'মার্গো'র শরীরে েক জায়গা ভেঙে গিয়েছিল। ফলে তার মেরামতের প্রয়োজন পরে। আর তার থেকেই শুরু হয়েছিল সম্পর্কের ভাঙন। ইউরি তোলোচকো জানান, মার্গো মেরামতের দোকানে থাকাকালীন, অন্য েক সিলিকনের সেক্স ডলের সঙ্গে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সোজা কথায় মার্গোর সঙ্গে 'প্রতারণা' করেছিলেন তিনি।
মার্গোর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা করার পরই, ইউরি তোলোচকো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নতুন সঙ্গী 'লোলা'র ছবি দিয়েছিলেন। বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তার নতুন স্ত্রী-র। ইনস্টাগ্রামে তার ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেছিলেন, 'আমার নতুন স্ত্রীকে, আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। ও হল লোলা।' লোলা তার লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে দ্বিধায় রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তোলোচকো।
তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইউরি তোলোচকো, আরও একটি সেক্স ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিলেন। জানান তার নাম লুনা। লোলা এবং লুনার সঙ্গে তিনি সেই সময় একটি থ্রিসাম সম্পর্কে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। ইউরির ভক্তরা জানিয়েছিলেন, লুনাকে অত্যন্ত অল্পবয়সী বলে মনে হয়।
ভক্তদের অবশ্য আশ্বস্ত করে তোলোচকো জানিয়েছিলেন, লুনা একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তাকে দেখে ছোট বলে মনে হয়, কারণ সে এশিয়। অনেক এশিয় মহিলাদেরই বয়সে ছোট বলে মনে হয়। তবু, লুনার সঙ্গে কোনো যৌন দৃশ্যের ছবি তিনি প্রকাশ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন ইউরি। লোলা এবং তিনি নিজে, লুনাকে তাদের বোন বলে মনে করেন বলেো জানান এই বডিবিল্ডার।
তবে, এখন তিনি আবার প্রেমে পড়েছেন। লোলা এবং লুনাকে পিছনে ফেলে তার নতুন আকর্ষণ এখন একটি অ্যাশট্রে বা ছাইদান। অ্যাশট্রেটি একটি নাইটক্লাবে রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন ইউরি। তিনি জানিয়েছেন, একটি ফটোশুটের কাজ করতে গিয়ে তিনি প্রথম অ্যাশট্রেটিকে দেখেছিলেন। তারপর থেকেই তার দুরন্ত আকর্ষণ কাজ করতে শুরু করেছিল। সেই অ্যাশট্রের ধাতব স্পর্শ এবং তার বাজে গন্ধ - সবই তিনি দারুণ পছন্দ করেন।
তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল সেক্স ডলগুলিকে তিনি নতুন অবস্থায় কিনেছিলেন। কিন্তু, অ্যাশট্রেটির নিজের গল্প রয়েছে। এটি অনেক মানুষের সেবায় লেগেছে। কিন্তু, সমস্যা হল, অ্যাশট্রেটির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কোনও উপায় নেই। তাই তিনি এখন সেটিকে একটি কৃত্রিম যোনি দিয়ে সাজাতে চান।
কাজাখ বডিবিল্ডারটি জানিয়েছেন, তিনি একজন প্যানসেক্সুয়াল। অর্থাৎ, মানুষ নয়, তার বদলে কোনও চরিত্র বা ছবি বা বস্তুর প্রেমে পড়েন। তিনি আরও জানিয়েছেন, জড় বস্তুর প্রতি তার একটা বিশেষ আবেগ আছে। সেগুলি জড় হলেও তার জন্য সবসময় জীবন্ত। তিনি আরও জানিয়েচেন, দুটি মানুষে যেরকম প্রেম হয়, বস্তুর সঙ্গে সেরকম হয় না। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন অনুভূতি। তার মতো এরকম অনেকেই জড় বস্তুর প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে থাকেন। মনের এই বিশেষ অবস্থাকে অবজেক্টোফিলিয়া বলে।