- Home
- World News
- International News
- Afghanistan Crisis: ৭ দুর্ধর্ষ তালিবান নেতা, ২০ বছরের যুদ্ধে নিখুঁত গেমপ্ল্যানই ছিল মূল হাতিয়ার
Afghanistan Crisis: ৭ দুর্ধর্ষ তালিবান নেতা, ২০ বছরের যুদ্ধে নিখুঁত গেমপ্ল্যানই ছিল মূল হাতিয়ার
- FB
- TW
- Linkdin
হাইবাতুল্লায় আখুন্দাজাদা
তালিবানদের সুপ্রিম কমান্ডার। ১৯৬১ সালে জন্ম। ২০১৬ সালের আগে সামরিক নেতা থেকে একজন ধর্মগুরু হিসেবেই তাঁর পরিচিত ছিল। কিন্তু তাঁর পূর্বসূরি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হলে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব চলে আসে তাঁরই হাতে। সেই সময় থেকেই তালিবানদের শীর্ষ নেতা হিসেবেই তাঁর নাম উঠে আসে। খুব সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত হাইবাতুল্লায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তেমনভাবে কোনও দিনও আসেননি। জনসমক্ষেও তাঁকে খুব কম দেখা যায়। তাঁর গুটিকয়েক ছবি হাতে সামনে এসেছে। চলতি বছর মে মাসে তাঁর সর্বশেষ বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তালিবানদের একটি সূত্র বলছে আফগানিস্তানে শাসনব্যবস্থায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদর
তালিবানদের ডেপুটি লিডার। আগামী দিনে তিনি সরকারের প্রধান হতে পারেন। ওসামা বিন লাদেন আর তাঁর ঘনিষ্ট মোল্লা ওমরের সঙ্গে যথেষ্ট সখ্যতা ছিল বরাদরের। মোল্লা ওমরের বোন বরাদরের স্ত্রী। ২০১২ সালে বরাদরকে পাকিস্তান থেকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন বাহিনী। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার আগেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। বরাদর গ্রেফতারের আগে তাঁর সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য বিশেষজ্ঞদের হাতে ছিল না। কিন্তু সেই সময় থেকেই তিনি গুরুত্ব দায়িত্বে ছিলেন।
বরাদর দোহায় থেকেই কাজকর্ম চালাতেন। দোহায় তালিবানদের রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর মঙ্গলবার কান্দাহারে ফিরিছেন। তালিবান কূটনীতিক হিসেবে পরিচিত। ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি।
সিরাজউদ্দিন হাক্কানি
হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান। ২০১৬ সালে জঙ্গি সংগঠনগুলি একত্রিত হয়। তারপর হাক্কানি তালিবানদের দ্বিতীয় নেতার মর্যাদা পান। আফগানিস্তান আর পাকিস্তানে বরাবরই তাঁর অবাধ বিচরণ। দুই দেশের সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পদ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। অনেকেই বলে থাকে এই সন্ত্রসবাদী গোষ্ঠিটিকে একসময় মদত দিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমানে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করতে তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও সিরাজউদ্দিনের ভাই তালিবান নেতা হিসেবেই পরিচিত। ২০১৬ সালে মার্কিন সেনা বাহিনীর হাতে বারহিন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মহম্মদ ইয়াকুব
তালিবানদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোল্লা ওমরের ছেলে মহম্মদ ইয়াকুব। বংশগত পরম্পরায় দলের শীর্ষপদটি পেয়েছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের মাদ্রাসা থেকে পড়াশুনা করেছিলেন। আফগানিস্তানেই থাকবেন। সিরাজউদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে দলের সামরিক কাজকর্ম তদারকি করেন। তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
আবদুল হাকিম হাক্কানি
তালিবানদের শীর্ষ আলোচক। সুপ্রিম কমান্ডার আখুন্দজাদার ঘনিষ্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ধর্মীয় পণ্ডিত আর কাউন্সিলরদের প্রধান তিনি।
শের মহম্মদ আব্বাস স্টাইনিকজাই
তালিবানদের মূল কূটনীতিক। দলের নেতাদের বিপরীতে হাঁটতে অভ্যস্ত। ইংরাজিতে চোস্ত। আফগানিস্তানে জঙ্গিদের সর্বশেষ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সময় উপ-বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে বিশ্বভ্রমণ করেন। ১৯৯৬ সালে আমেরিকাও গিয়েছিল। ক্লিনটন প্রশাসনকে তৎকালীন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হন। সম্প্রতি চিন সফর করেছেন। হাকিম হাক্কানির সঙ্গে আফগান প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলছেন তিনি।
জবিহুল্লাহ মুজাহিদ
দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। রবিবার তালিবানরা কাবুল কব্জা করার পর তিনি প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন। গত কুড়ি বছর তাঁকে কেউ দেখেনি। ফোনের মাধ্যমে বা অভিড রেকর্ড পাঠিয়ে দলের অবস্থান আর পরিকল্পনা বিশ্ববাসীকে জানাতেন তিনি। ১৭ অগাস্ট তিনি প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
তালিবান শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যাঁরা মার্কিন-তৎকালীন সোভিয়েত ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সক্রিয় ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় তালিবানদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আমেরিকা, তুরষ্কসহ একাধিক দেশে যুদ্ধ অস্ত্রচালনা ও তথ্য প্রযুক্তির বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। তালিবানরা অধিকাংশ পাশতুন উপজাতির মানুষ।