- Home
- World News
- International News
- খোদ নিজের দেশেই মোদীকে নিয়ে নাজেহাল জিনপিং, চিনে জনপ্রিয়তায় সমানে সমানে টক্কর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের
খোদ নিজের দেশেই মোদীকে নিয়ে নাজেহাল জিনপিং, চিনে জনপ্রিয়তায় সমানে সমানে টক্কর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের
ভারত-চিন সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর। গালওয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসন নীতির পর তা আরও অবনতির দিকেই ধাবিত হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের রক্তচক্ষুর পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিবেশী চিনের অর্ধেক মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। এমনটাই দাবি করছে সেদেশের সরকারি মুখপাত্র গ্লোবাল টাইমস।
- FB
- TW
- Linkdin
চিন-ভারতের মাঝে পরিস্থিতি খুবই গম্ভীর। এরই মাঝে যুদ্ধংদেহী রূপে একে অপরের দিকে বন্দুক তাক করে আছে দুই দেশ। ভারতে নিয়মিত পোড়ানো হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কুশপুত্তলিকা। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও শত্রু দেশে বেশ জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দুই দেশের মধ্যে যতই টানাপোড়েন থাকুক, সীমান্তের উত্তাপ্তে নয়াদিল্লি-বেজিং যতই উত্তপ্ত হোক, চিনা নাগরিকদের অধিকাংশই পছন্দ করেন দিল্লির নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। সেদেশের জাতীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক সমীক্ষা কিন্তু সেকথাই বলছে।
ভারত ও চিনের মধ্যে কোন দেশের সরকার বেশি পছন্দ চিনের জনগণের? এই প্রশ্নের উত্তর পেতেই সমীক্ষায় আয়োজন করেছিল গ্লোবাল টাইমস। তাতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী, চিনের ৫০ শতাংশ নাগরিক সেদেশের সরকারের থেকে বেশি পছন্দ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। অবশ্য বাকি ৫০ শতাংশ বেজিংয়ের সরকারের পক্ষেই মত দিয়েছেন।
সমীক্ষা বলছে ৭০ শতাংশ চিনা নাগরিক মনে করেন ভারত চিন বিরোধী জোরালো আবেগ তৈরি হয়েছে, যা সহজে মেটার নয়। বাকি ৩০ শতাংশ নাগরিক মনে করেন ভবিষত্যে ভারত ও চিনের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হবে।
যদিও ৯ শতাংশ নাগরিকের ধারণা, ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক ভাল হলেও তা খুব বেশিদিন টিকবে না। কিন্তু ২৫ শতাংশ মানুষের আবার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে ভারত ও চিনের সম্পর্ক মজবুত হবে।
গালওয়ান উপত্যকার ঘটনার পরই ভারতে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক জোরালো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এর প্রভাব চিনের অর্থনীতে বেশ ভালভাবেই পড়েছে। ভারতের মতো বিশাল দেশের বাজার হারাতে হয়েছে শি জিনপিং সরকারকে।
ফলে চিনের সাধারণ নাগরিকদের মনে সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারই প্রতিফলন গ্লোবাল টাইমসের সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে।
লকডাউনের মধ্যেই করোনা আবহে ঘটে গেছিল রক্তক্ষয়ী ভারত-চিন গালওয়ান সংঘর্ষ। আর তারপরই প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে ভারত-চিনের সম্পর্ক। এই ঘটনার ভারতে কাজ হারিয়েছে বিভিন্ন চিনা সংস্থা। ভারতের ডিজিটাল স্ট্রাইকে দেশ ছেড়েছে জনপ্রিয় সব অ্যাপ। কিন্তু কোনও কিছুই টলাতে পারেনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়তাকে। আর তা এবার প্রমাণ করলেন খোদ শি জিনপিংয়ের দেশের নাগরিকেরাই।