- Home
- World News
- International News
- সংক্রমণ ফ্রি করোনার আঁতুড় ঘর, মাস্ক ছাড়াই এবার বাইরে বেরনোর অনুমতি পেল বেজিংবাসী
সংক্রমণ ফ্রি করোনার আঁতুড় ঘর, মাস্ক ছাড়াই এবার বাইরে বেরনোর অনুমতি পেল বেজিংবাসী
- FB
- TW
- Linkdin
গত ১৩ দিন চিনের রাজধানী বেজিংয়ে নতুন করে কোনও ব্যক্তি কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হননি। চিনের মূল ভূখণ্ডেও গত পাঁচ দিনে নতুন করে সংক্রমিত হননি কোনও নাগরিক।
গত এপ্রিল থেকেই অতিমারী সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছিল চিন। এবার মাস্ক পরাও আর বাধ্যতামূলক রইল না সে দেশের রাজধানীতে। বরং চাইলে মাস্ক না পরেই বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন চিনা নাগরিকরা। শুক্রবার বেজিংয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হল।
তবে সরকার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও, এখনই মাস্ক না পরে বেরতে সাহস পাচ্ছেন না সেখানকার নাগরিকরা। যে কারণে সরকারি ঘোষণার পরও শুক্রবার বেজিংয়ের রাস্তায় বেশির ভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক দেখা গিয়েছে।
uae masks
সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে একনো অনেকের মধ্যেই রয়েছে। সেই কারণে হঠাৎ করে তারা মাস্ক খুলতে চাইছেন না। মাস্ক পরে থাকলে নিজেদের নিরাপদ মনে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। সেই কারণে প্রশাসন অনুমতি দিলেও মাস্ক খোলা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন অনেক বেজিংবাসী।
করোনা প্রতিরোধে ইতিমধ্যে দু’বার লকডাউন করা হয়েছে বেজিং-কে । এপ্রিলের শেষে শহরের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে বলা হয়, বাসিন্দারা মাস্ক ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা করতে পারবেন। কিন্তু জুনে শহরের দক্ষিণে পাইকারি বাজারে ফের করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। তখন পুর কর্তৃপক্ষ ফের মাস্ক বাধ্যতামূলক করে।
তার পর গত কয়েক দিনে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বেজিংয়ে। এর পরই দ্বিতীয় বারের জন্য মাস্ক না পরলেও চলবে বলে জানিয়ে দিল প্রশাসন।
চিনের মূল ভূখণ্ডে গত পাঁচদিনে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন কঠোরভাবে মাস্ক পরার নিয়ম কার্যকর করেছে। কারও শরীরে ওই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে। টেস্টও করেছে ব্যাপক হারে। এর ফলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য পেয়েছে দেশটি।
তবে চিনা সরকার জানিয়েছে, গত ২০ আগস্ট বিদেশ থেকে আগত ২২ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। তার জেরে বিদেশি নাগরিকদের জন্য সীমান্ত আপাতত বন্ধ রেখেছে চিন।
গত ডিসম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত চিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৬৭ জন।সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে বিশ্ব তালিকায় ৩২তম স্থানে রয়েছে চিন।
গত বছর ডিসেম্বর চিনের উহানে প্রথমে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকে ভোগাচ্ছে। কিন্তু চিনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আগের মতোই জীবন যাপন।