- Home
- World News
- International News
- 'আমেরিকানদের প্রয়োজন নেই করোনা প্রতিষেধক', জানিয়ে দিলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ
'আমেরিকানদের প্রয়োজন নেই করোনা প্রতিষেধক', জানিয়ে দিলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ
- FB
- TW
- Linkdin
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসি বলছেন অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন নাগরিকদের তেমনভাবে প্রয়োজন হবে না করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। তাই এই করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা হবে না দেশটির নাগরিকদের জন্য। চাইলে রাজ্যগুলি তা কার্যকর করতে পারে।
অ্যান্টনি ফৌসি বলেছেন, প্রয়োজমে স্বাস্থ্যকর্মীদের মত জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা মহিলাদের ক্ষেত্রে এই করোনা প্রতিষেধক বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জন্য তার প্রয়োজন নেই।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটগুলিতে রোগীদের চিকিৎকসা করার আগেই স্বাস্থ্য কর্মীদের রীতিমত নিরাপত্তা দেওয়া জরুরি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা প্রতিষেধককে বাধ্যতামূলক করা অসম্ভব কারণ ওই দেশে প্রতিষেধক বিরোধী মনোভাব ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও বিকেন্দ্রীকরণ নীতিতে বিশ্বাস করে। তাই কোনও কিছুই চাপিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে রাজ্যগুলি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তৈরি করে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় জোর দিতেই পারে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রতিষেধক বাধ্যতামূলক রয়েছে। হামের টিকা এই দেশে বাধ্যতামূলক। চিকিৎকসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও ধর্মীয় কারণ ছাড়া এই টিকা প্রায় সকলকেই দেওয়া হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই করোনা প্রতিষেধক বাধ্যতামূলক করা হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ ফৌসি বলেছেন করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগের ওপর কারও ওপর জোর করা হবে না।
রাশিয়া, জার্মানি এমনকি চিনও করোনা প্রতিষেধকের দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছে। রাশিয়া ও চিন করোনা প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ে অনেকটা পথ এগিয়েও গেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন করোনা টিকা সেই দেশে বাধ্যতামূলক করা হবে। চিকিৎকসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে একাধিক সংস্থা ১০০টিরও বেশি প্রতিষেধক বিকাশের চেষ্টা করে যাচ্ছে। চিন আর ব্রিটেনের প্রতিষেধক হিউম্যান ট্রায়ালেও অনেক দূর সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে ভারতেও। তৃতীয় পর্বে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছে।