- Home
- World News
- International News
- করোনা আবহে নিষিদ্ধ ছিল কাজ, অবশেষে ৪ মাস পার করে খুললো বার্লিনের বিখ্যাত যৌনপল্লী
করোনা আবহে নিষিদ্ধ ছিল কাজ, অবশেষে ৪ মাস পার করে খুললো বার্লিনের বিখ্যাত যৌনপল্লী
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠিক কত কোটি মানুষের পেটের ভাত কেড়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। তবে বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসংগঠিত শ্রমিকদের, যৌনকর্মীদের। শেষ কবে এতদিন ধরে যৌনপল্লীগুলি আটকানো ছিল তা মনে করতে পারছেন না ঐতিহাসিকরাও। এই অবস্থাতেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন করে বাঁচতে মরিয়া জার্মানির যৌনকর্মীরা। বার্লিনের সিনেটের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খুলে দেওয়া হল বার্লিনের ব্রথেলগুলি।
| Published : Aug 18 2020, 07:55 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে জার্মানিতে যৌনকর্মীদের কাজ কয়েকমাস নিষিদ্ধ ছিল৷ তবে এবার তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ আগস্টের শুরুতেই ফের কাজে ফিরেছেন বার্লিনের যৌনকর্মীরা।
করোনার কারণে প্রায় সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। এই মারণভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সারা বিশ্বের যৌনপল্লিগুলোও। তবে পৃথিবীর প্রথম যৌনপল্লি হিসেবেই নতুন যুগের পথচলা শুরু করল বার্লিনের ব্রথেলগুলো।
বার্লিনের সিনেটের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যৌনকর্মীরা ৮ আগস্ট থেকে ফের যৌনসেবা দিতে পারবে৷ তবে স্বাস্থ্য প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী যৌনকর্মীরা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখনই পুরোপুরি যৌনমিলনের অনুমতি পাননি৷
তবে যৌনকর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হলেও অবাধ যৌনতায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে জার্মান সরকার।
জার্মান সরকারের নিদান, আপাতত মাসাজ বা অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন যৌনকর্মীরা। কিন্তু তার বেশি নয়। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পরিসরে কোনও রকম যৌনসংসর্গ চলবে না।
যদিও এই ঘোষণা নিয়েও দুরাশায় ভুগছেন বার্লিনের যৌনকর্মীরা। তাঁদের দাবি, খদ্দেররা বেশির ভাগ সময়েই সংসর্গই চায়। সে ক্ষেত্রে আদৌ এভাবে রোজগার শুরু হবে কিনা, তাঁরা জানেন না।
জার্মানিতে ব্রথেলগুলোতে যৌন মিলন বন্ধ রয়েছে মার্চ মাস থেকে। জুলাইয়ের শুরুতে যৌনকর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। মিছিল যায় পার্লামেন্ট পর্যন্ত। তাঁদের দাবি ছিল, এই নিষেধাজ্ঞা তাঁদের খাওয়া-পরা বন্ধ করে দিয়েছে।
জার্মানিতে যৌনকর্ম এইটি আইনি পেশা। চল্লিশ হাজারেও বেশি যৌনকর্মী লিগ্যাল ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঘোরেন। তাঁদের পথে বসিয়েছে করোনা।
মার্কস নামের এক যৌনকর্মী বলছেন, ২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি, কখনো এই পরিস্থিতি আসেনি। আমি করোনাকে আর ভয় পাই না, ভয় খিদেকে। একই অবস্থা অন্যান্য যৌনকর্মীদেরও।
এক ব্রথেল মালিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এখন নতুন করে করোনা বিধি মেনে ব্যবসা চালু করার জন্যেও বিনিয়োগ লাগবে। কেউ ব্রথেলে এলেই তাঁকে করোনা সুরক্ষা বিধি মানার চুক্তিপত্রে সই করতে হচ্ছে।