- Home
- World News
- International News
- মহামারিতে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব, তখন করোনাভাইরাস জয়ের উৎসবে সামিল জিংপিং
মহামারিতে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব, তখন করোনাভাইরাস জয়ের উৎসবে সামিল জিংপিং
করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পাশ করেছে চিন। মঙ্গলবার গ্রেট হল অব পিপিলের জনসভায় এমনই মন্তব্য করেছেন চিনের রাষ্ট্রপতি সি জিংপিং। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দেশ চিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠিন ও ঐতিহাসিক লড়াইয়ে সফল হয়েছে। এদিনে চিনের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে সম্মান প্রদান করা হয়। করোনাভাইরাসের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নীরবতাও পালন করা হয়।কিন্তু বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। অধিকাংশ দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেনি চিন।
- FB
- TW
- Linkdin
গত জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে চিন। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীদের অনুমান চিন থেকেই এই মারাত্মক সংক্রামক রোগ বর্তমানে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু মহামারির প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে উঠেছে চিন।
আর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চিন জয় পয়েছে বলেই মনে করছে শি জিংপিং প্রশাসন। আর সেই জয়ই উদযাপন করা হয় মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার গ্রেট হল অব পিপিলের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং মন্তব্য করেন দেশটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন আর ঐতিহাক লড়ায়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন মহামারির বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছে দেশের মানুষ। আর সেই কারণে তাঁদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন ৮২ বছরের চিনের জনপ্রিয় চিকিৎসক ঝং নানশং। তিনি ছিলেন দেশের করোনা লড়াইয়ের মুখ।
তবে লি ওয়েনলিয়ংএর নামই উত্থাপন করা হয়নি। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে করোনাভাইরাসের কারণে যেসব চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিলেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং করোনাভাইরাসের নিয়ে মার্কিন সমাচালোচনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখেছিলেন।
এই অনুষ্ঠানে সমাগত জনতা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। আর শি বলেছিলেন চিনা নাগরিকদের জীবন রক্ষায় সবকিছু করতে রাজি তাঁর প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে চিন যে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বেজিং এর বাণিজ্য মেলায় তার প্রমান পাওয়া গেছে। কারণ এই মেলাতেই প্রথম জনসমক্ষে আনা হয়েছিল চিনের করোনা প্রতিষেধক।