- Home
- World News
- International News
- সমালোচনার জবাব দিতে মরিয়া চিন, বেজিং-এর বাণিজ্যমেলায় জনসমক্ষে আনল দেশীয় করোনা প্রতিষেধক
সমালোচনার জবাব দিতে মরিয়া চিন, বেজিং-এর বাণিজ্যমেলায় জনসমক্ষে আনল দেশীয় করোনা প্রতিষেধক
এই প্রথমবার চিন তাদের দেশে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক সামনে আনল। বেজিংএর চলছে বাণিজ্য সম্মেলন। আর সেখানেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে সিনোফার্মা আর নিনোভাক বায়োটেক। তবে এগুলি এখনও পর্যন্ত বিক্রি করা হয়নি। শুরুমাত্র দেখতে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রতিষেধকের গুণাগুণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে।
- FB
- TW
- Linkdin
এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করা হয়নি সিনোফার্ম আর সিনোভাক বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। দুটি প্রতিষেধকেরই তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
এই পরিস্থিতিতে দুটি সংস্থার তৈরি প্রতিষেধক জনগণের সামনে তুলে ধরল চিন। দেশের জণগণের পাশাপাশি বিদেশের জনগণও সেগুলি দেখতে পারবেন। কারণ প্রতিষেধকগুলি প্রদর্শিত হচ্ছে বেজিংএর বাণিজ্য মেলায়।
সিনোভাক বায়োটেকের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন তাঁর সংস্থা ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক তৈরির জন্য কারখানা তৈরি করেছেন। বছরে ৩০০ মিলিয়ন ডোস উৎপদান করতে সক্ষম হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে বেজিংএর বাণিজ্য মেলায় করোনার প্রতিষেধকগুলিকে একবার দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন বহু দর্শক। কারণ অনেকেই মনে করেছেন প্রতিষেধক বাজারে এলে তবে করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করা যাবে।
চিন থেকে করোনা মহামারি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই অভিযোগ তুলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই চিনের সমালোচনায় সরব হয়েছিল। প্রথম প্রতিষেধক তৈরি করে চিন তারই উত্তর দিতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আর সেই কারণেই সি জিংপিং প্রশাসন বেজিংএর বাণিজ্য়মেলাকেই বেছে নিয়েছিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি উত্থাপন করা হয়েছে উহান প্রদেশের কথাও। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই প্রদেশটির সাফল্যের কথায় প্রচার করা হচ্ছে।
করোনা মহামারি বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির অচলাবস্থার জন্য দায়ি করা হচ্ছে চিন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা ভাইরাসের অগ্রগতির কথা বলছে চিন।
মে মাশেই চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং চিনের প্রতিষেধকের কথা বলেছিলেন। পাসাপাশি তিনি বলেছিলেন বিশ্বের জনগণের উপকারে লাগবে তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক।
সিনোফার্ম জানিয়েছে তাদের তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক যে অ্যান্টবডি তৈরি করবে তা তিন বছর পর্যন্ত মানব শরীরে স্থায়ী হবে। আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বসেও জানিয়েছে তারা।
চিনের তৈরি প্রতিষেধকের দাম বেশি হবে না বলেই চিনের রাষ্ট্রীয় মাধ্যম জানিয়েছিল। দুটি ডোস প্রতি এই প্রতিষেধকের দাম হতে পারে ১ হাজার ইউয়ান বা ১৪৬ ডলার। টিকা হিসেবেই এটি প্রয়োগ করা হবে।