ফের আশঙ্কার মেঘ ডোকলামে, গোয়েন্দা রিপোর্টে ফাঁস চিনের বড় প্রস্তুতি
পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এখনও উত্তেজনার জিইয়ে রেখেছে চিন সেনা। গোগরা হটস্প্রিং থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হচ্ছে না তারা, এমনটাই জানা গিয়েছে। পূর্ব লাদাখ নিয়ে হইচই-এর মধ্যেই চুপিসারে ডোকলামে তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে চিন, এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, গত জুন-জুলাই মাসে ডোকলামের কাছেই নতুন নির্মাণের কাজ করেছে চিন। উত্তর ডোকালামের 'জেনারেল এরিয়া'তেই হয়েছে এই নির্মাণ। সিঞ্চ লা ও তোর্সা নালার পাশে একটি প্রাচীর সহ বহু নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে চিন।
সূত্র মতে, সিঞ্চ লা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে চিন একটি বহুতল ভবনও নির্মাণ করছে। সিঞ্চ লা-র পশ্চিম দিকের শৃঙ্গের উপরে প্রায় ১৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটিও দেখা গিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঞ্চ লা থেকে পশ্চিমে একটি রাস্তারও উন্নয়ন করেছে চিন।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে শুধু পূর্ব লাদাখ নয়, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুরো এলাকা জুড়েই চিনের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখছে ভারত। সজাগ রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। এলএসি-র যে কোনও জায়গা দিয়েই অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাতে পারে চিন, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে এই ডোকলাম নিয়েই কয়েক দশক পর ভারতের সঙ্গে প্রথম খটাখটি লেগেছিল চিনের। সেখানে বিতর্কিত এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল চিন। ভারতীয় সেনা যেই কার্যক্রমে তত্ক্ষণাত বাধা দিয়েছিল। তারপর ৭৩ দিন ধরে চলেছিল অচলাবস্থা। শেষ পর্যন্ত পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল চিনা পিএলএ।
ডোকালামের যে অংশে রাস্তাটি তৈরি করছিল চিন, তা অবশ্য ভারত নয় ভুটানের মধ্যে পড়ে। ভুটানের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভুটানের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সহায়তা করে ভারত।
বস্তুত, ডোকলামে, ভারত, ভুটান ও চিন - এই তিন দেশেরই সীমান্ত রয়েছে।
ভারতের জন্য এই এলাকা কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চিন যদি এই এলাকা কোনওভাবে দখল করে নেয়, সেই ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি রক্ষা করা মহাসমস্যার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
এই অবস্থায় ওই এলাকায় নতুন চিনা নির্মাণ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। লাদাখের সঙ্গে সঙ্গে এই এলাকা দিয়েও অতর্কিতে হামলা চালাতে পারে চিনা পিএলএ, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভারতীয় গোয়েন্দারা।