- Home
- World News
- International News
- উত্তর কোরিয়ায় কি দিন ফুরিয়ে আসছে স্বৈরাচারী কিম জং উনের, কেন নেতৃত্ব আসছেন বোন ইয়ো জং
উত্তর কোরিয়ায় কি দিন ফুরিয়ে আসছে স্বৈরাচারী কিম জং উনের, কেন নেতৃত্ব আসছেন বোন ইয়ো জং
উত্তর কোরিয়া প্রশাসনে কিম জং উনের পরেই স্থান পেয়েছেন তার বোন কিম ইয়ো জং। কিন্তু কেন এই প্রশাসনে এই রদবদন তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সুলুক সন্ধান দিতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থারই দাবি করেছে কিম জং উনের থেকে ক্ষমতা চলে যাচ্ছে বোন কিং ইয়ো জংএর হাতে। তবে করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়ই কয়েক মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিম জং উন। সেই সময় প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তাঁর বোন। বিশ্বজুড়ে কিমের মৃ্ত্যুর খবর রোটে যাওয়ার পরেও উত্তর কোরিয়ার শাসক হিসেবে উঠে এসেছিল কিম ইয়ো জংএর নাম। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকেও রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন ৩৩ বছর ইয়ো জং। একটি সূত্র বলছে তিনি এই মুহূর্তে উত্তর কোরিয়ার সবথেকে শক্তিশালী মহিলা।
- FB
- TW
- Linkdin
উত্তর কোরিয়া প্রশাসনে সরকারি কিম জং উনের পরেই স্থান পেয়েছেন তাঁর বোন কিম ইয়ো জং। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই অলিখিতভাবে কিমের বোনও হয়ে উঠেছিলেন তাঁর উত্তরসুরী। বর্তমানে তা খাতায় কলমে চূড়ান্ত করা হল বলেও দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে কিম ইয়ো জং এবার থেকে সিওল আর ওয়াশিংটনের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ রাখবে। পিয়ং ইয়ং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিমের ওপর থেকে চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের বিরোধী দলের এক সদস্য দাবি করেছেন ইয়ো জং তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে সমস্ত ক্ষমতা বুঝে নিচ্ছেন। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন ইয়ো জং।
বিরোধী দলসহ উত্তর কোরিয়া প্রশাসন দাবি করেছে কিম জংউনের হাতেই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ক্ষমতা রেয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সামনে আসছেন তাঁর বোন। এই দায়িত্ব পাওয়ার আগেই অবশ্য ইয়ো জং মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিমের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদরা বলেছেবন মানসিক চাপ কমাতেই কিম এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে বর্তমানে মোটেও ভালো সময় যাচ্ছে না কিমের।
উত্তর কোরিয়া দাবি করছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনও প্রভাব ফেলেনি দেশে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে মহামারির কারণে লকডাউনে রীতিমত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটি। গত দুদশকে এমন আর্থিক সংকট তৈরি হয়নি বলেও জানিয়ে গোয়েন্দারা।
তারওপর রয়েছে কিমে জং উনের স্বৈরাচারী মনোভাব। যা নিয়ে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। সব মিলিয়ে চাপের বোঝা কমাতেই কিম বেছে নিয়েছেন তাঁর বোনকে।
কিং জং উনের অসুস্থতার পর থেকেই কিম ইয়ো জং প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে ৩৩ বছরের কিম ইয়ো জং সম্বন্ধে তেমন কোনও তথ্য জানা যায় না। কিম জং উনের বোন হিসেবেই প্রথম দিকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি।
মার্কিন কূটনীতিক মাইকেল ম্যাডন জানিয়েছিলেন কিমের বাবা কিম জং ইল মনে করতেন ছেলের তুলনায় তাঁর মেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধি রাখে। আর ইয়ো জংও একাধিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রমাণ দিয়েছেন।
কিম ইয়ো জং যদি দক্ষিণ কোরিয়ার শাসনভার গ্রহণ করেন তবে তা হবে ওই দেশটির ইতিহাসে একটি নবতম অধ্যায়। কারণ এর আগে আর কোনও মহিলায় উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনিক প্রধানের পদ দখল করতে পারেননি।