- Home
- World News
- International News
- লক্ষ্য সেই ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্র বানাচ্ছে চিন, ফাঁস হলো গোপন রিপোর্ট
লক্ষ্য সেই ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্র বানাচ্ছে চিন, ফাঁস হলো গোপন রিপোর্ট
পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জীবাণু অস্ত্রের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে তুলছে চিন। সম্প্রতি একটি প্রতিরক্ষা বিষয়ক পত্রিকায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই পত্রিকায় চিন ও পাকিস্তানের সেই চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ভারতকে কোণঠাসা করতেই প্রতিবেশী দুই দেশ চিন ও পাকিস্তান এমন অস্ত্র তৈরি করছে।
- FB
- TW
- Linkdin
চিনের উহানের যে ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হয়, সেই ল্যাবেই জৈব অস্ত্রের চাষ করছে চিন। আর সেই কাজে তাদের দোসর হয়েছে পাকিস্তান।
দ্য ক্ল্যাস্নন নামের প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি প্রতিকায় পত্রিকায় চিন ও পাকিস্তানের সেই চুক্তির বিষয়টি ফাঁস করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট মোতাবেক, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্র গড়ে তুলছে চিন।
উহানের ওই ল্যাবে জৈব অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে আগেই একাধিকবার চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন দেশ। যদিও বরাবরই তা অস্বীকার করেছে বেজিং।
পত্রিকাটি দাবি করেছে ভারত ছাড়াও ইউরোপিয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যহারের জন্য জীবাণু অস্ত্র তৈরি করতে অ্যানথ্রাক্সসহ বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে পাকিস্তান ও চিন।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার গবেষণা শাখা ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন ও উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি একযোগে সেই পরীক্ষা নিরিক্ষা চালাচ্ছে। আশঙ্কার খবর হল, করোনার এই প্রবল প্রকোপের সময়ই চিন জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এগুলিকে।
পত্রিকাটির দাবি করছে, জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে বেশ কিছু মারাত্মক ভাইরাস সরবরাহ করেছে উহানের ভাইরাস গবেষণাগার। এর মধ্যে সবচেয়ে ঘাতক হচ্ছে ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (অ্যানথ্রাক্স) ও অ্যাসিলাস থুরিংজিয়েনিসিস (অ্যানথ্রাক্স-এর সঙ্গে মিল থাকা) নামের দুটি জীবাণু।
জীবাণুগুলো কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং প্রয়োজনে গবেষণাগারে আরও বেশি করে তৈরি করা যায়, ইসলামাবাদকে বেজিং সেসব প্রযুক্তিও সরবরাহ করেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ও চিন কোনো দেশেরই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নেই ওই প্রতিবেদনে।
চিন্তা বাড়িয়েছে আরও একটি খবর। সম্প্রতি এক মার্কিন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনও জৈব অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে। আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য বরাবরই।
ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই আশঙ্কার পারদ চড়ছে। এমনকী মনে করা হচ্ছে, প্লেগ, ইবোলা, এসএআরএস-এর মতো ভাইরাসকেও জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চিন ও পাকিস্তান।
করোনাভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের নিশানায় রয়েছে চিন। বিশেষত আমেরিকা বারবার করোনার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে চিনকে। শুরুর দিকে অনেকেই এই ভাইরাসকে চিনের 'জৈব অস্ত্র' বলে দাবি করেছিলেন।