- Home
- World News
- International News
- করোনা নিয়ে নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এলো ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য, সুস্থ হওয়ার পরেও শরীরে থেকে যাচ্ছে উপসর্গ
করোনা নিয়ে নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এলো ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য, সুস্থ হওয়ার পরেও শরীরে থেকে যাচ্ছে উপসর্গ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন এক গবেষণায় ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে এল। বিশেষজ্ঞদের এক গবেষণায় দেখা গেছে আক্রান্ত ব্যক্তি সেরে ওঠার দুই মাস পরও তার শরীরে ভাইরাসটির নানা উপসর্গ থেকে যাচ্ছে। এতে মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের খবরে দাবি করা হয়েছে। এদিকে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের উপর করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে তাদের শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। তবে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বল্পস্থায়ী ।
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের অ্যান্টিডট নিয়ে পরীক্ষার পর গবেষকরা চূড়ান্ত মতামত দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। এমনকি সেরে ওঠা রোগীর প্লাজমা দিয়ে আরেক আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু ইতালির বিজ্ঞানী দলের গবেষণায় পাওয়া নতুন এক তথ্য চিকিৎসকদের নতুন করে চিন্তায় ফেলছে।
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় জানা যায়, ইতালি থেকে আসা ১৪৩ জন করোনা আক্রান্তের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন গবেষকরা। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষ দুই মাস পরও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চলাফেরা করছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, উপসর্গ থেকে যাওয়ায় রোগীরা ক্লান্তি ও নানারকম শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে ১৩ শতাংশ মানুষ একেবারে উপসর্গ মুক্ত হতে পেরেছেন।
গবেষকরা বলছেন, উপসর্গ থেকে যাওয়ায় সময়কাল দীর্ঘ হলে ব্যক্তির মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে লন্ডনের কিংস কলেজের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখিয়েছেন, অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে কীভাবে শরীর প্রাকৃতিকভাবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং করোনা নেগেটিভ ফলাফল আসার পর কয়েক সপ্তাহ বা মাসখানেক সময় অ্যান্টিবডি স্থায়ী হয়।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ৯৬ জনের সবার মধ্যে শনাক্তকরণযোগ্য অ্যান্টিবডি ছিল। যেটা করোনভাইরাসের আক্রামণ বন্ধ করতে পেরেছিল। তবে তিন মাস ধরে স্তরগুলোর কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে।
যদিও অ্যান্টিবডির এই হ্রাসের ফলে আবারও একই ভাইরাসে আক্রান্ত করে কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। একই রকম স্বল্পকালীন প্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণ সর্দির মতো অন্যান্য ভাইরাসের সাথে দেখা হয়। তাই আক্রান্তদের পুনরায় সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে গবেষণায় জানানো হয়।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকের শরীরে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়নি। তাই বলে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না তার প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই। অনেকের শরীরের অ্যান্টিবিডি না থাকলেও শরীরে টি-সেলের উপস্থিতি রয়েছে। এই টি-সেল করোনায় আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত ও ধ্বংস করে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তবে কী হয় তা দেখার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।
করোনার প্রতিষেধক কতটা ভাল কাজ করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতার দেয়ার জন্য কতবার বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হতে পারে- তা বোঝার জন্য এই ধরণের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।