- Home
- World News
- International News
- উইঘুর মুসলিমদের পর এবার টার্গেট খ্রিস্টানরা, চিনে নাকি যিশুর জায়গা নিতে চাইছেন জিনপিং
উইঘুর মুসলিমদের পর এবার টার্গেট খ্রিস্টানরা, চিনে নাকি যিশুর জায়গা নিতে চাইছেন জিনপিং
- FB
- TW
- Linkdin
চিনে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ইতিহাস বহুল চর্চিত। জানা যায় চিন সরকার দশ লক্ষেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে আটক করে রেখেছে। এদের বেশিরভাগই জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষ। মুসলিমদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে তাদের দেহে জোর করে জন্মনিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র বসানোরও অভিযোগ উঠেছে বেজিং-র বিরুদ্ধে।
এবার খ্রিস্টানদের প্রতি অত্যাচার শুরু করেছে বেজিং। চিন সরকার হুকুম জারি করেছে, ঘরে যিশু খ্রিস্টের ছবি রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে রাখা যাবে না ক্রস চিহ্নও।
কমিউনিস্ট পার্টি স্থানীয় কমিটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকদের নির্দেশ দিয়েছে, যিশু খ্রিস্টের ছবি এবং ক্রস চিহ্ন সরিয়ে দিয়ে তাঁর পরিবর্তে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে।
এখানেই থেমে থাকেনি চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। চিনের ৪ রাজ্যের শতাধিক গির্জা থেকে ধর্মীয় প্রচার বন্ধ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে গির্জায় রাখা সমস্ত ক্রস ভেঙে ফেলতে হবে।
মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের উপর সরকারের এহেন আক্রমণের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে নাগরিকদের মধ্যে। জনগণ এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টে চার্চের বাইরে একটি বিশাল ক্রস সরকারী কর্মকর্তারা ভেঙ্গে দেন বলে অভিযোগ।
বর্তমানে চিনের মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশ খ্রীষ্টান। তাদের বেশিরভাগ চিনে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন প্রদেশে খ্রিষ্টানদের এমন নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।