২০২০ সালের বিশ্বের সেরা ২০ মহিলা রাজনীতিক, ভারত থেকে আছেন সীতারমণ
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যাঞ্জেলা মের্কেল
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক - ১
মের্কেল ২০০৫ সালে জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর হয়েছিলেন এবং এখন তিনি চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। মের্কেলের নেতৃত্বেই আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা জার্মানি এখন এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সিরিয় শরণার্থীদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব সারা বিশ্বের প্রশংসা পেয়েছে।
ক্রিস্টিন লেগার্ড
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ২
২০১৯-এর ১ নভেম্বর প্রথম মহিলা হিসাবে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রধান হয়েছিলেন লেগার্ড। ইউরোপীয় মুদ্রানীতিতে প্রধান হিসাবে, করোনভাইরাস মহামারি ইউরো অঞ্চলে আরও বিপর্যয় যাতে না ডেকে আনে, তা নিশ্চিত করার কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাঁকে। এর আগে ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত লেগার্ড আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিচালক ছিলেন।
কমলা হ্যারিস
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৩
কমললাকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর, কমলা হ্যারিস মার্কিন ষযুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম মহিলা হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৬ সালে, তিনি প্রথম ভারতীয়-মার্কিন মহিলা হিসাবে মার্কিন সেনেটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আর্সালা ভন ডের লেইন
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৪
২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রথম মহিলা হিসাবে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী শাখা, ইউরোপিয়ান কমিশনের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন আর্সালা ভন ডের লেইন।
ন্যান্সি পেলোসি
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৭
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদের ৫২ তম স্পিকার হলেন পোলোসি। ২০১৯ সালে, তিনি মার্কিন ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।
ক্রিস্টেলিনা জর্জিয়েভা
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ১৮
বুলগেরিয়া-র এই অর্থনীতিবিদ ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন। এর আগে তিনি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইও পদে। ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
জেসিন্ডা আর্ডের্ন
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৩২
৩৮ বছর বয়সী জেসিন্ডা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মহিলা রাষ্ট্রনেতা। তিনি গত ১৫০ বছরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীও বটে। তবে তাঁর সবচেয়ে কীর্তি হল, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ছয় সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। ছয় সপ্তাহ পর কার্যালয়ে ফিরেই জানিয়েছিলেন, তিনি যখন দেশ সামলাবেন, তখন তাঁর স্বামী বাড়িতে থেকে বাচ্চার দেখাশোনা করবেন। চলতি বছরের অক্টোবরে তিনি বিপুল ভোটে জিতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
জাই ইং-ওয়েন
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৩৭
২০১৬ ৫৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে তাইওয়ান-এর প্রথম মহিলা এবং অবিবাহিত রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন জাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেজিং-এর চোখে চোখ রেখে লড়ে যাচ্ছেন তিনি।
শেখ হাসিনা
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৩৯
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এই নিয়ে একটানা তৃতীয় মেয়াদে তাঁর দল আওয়ামি লিগ বাংলাদেশে জয়ী হয়েছে। শেষ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৮ টিতেই জয়লাভ করেছিল তাঁর দল।
নির্মলা সীতারামণ
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৪১
২০১৯-এর মে মাসে ভারতের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন নির্মলা সীতারমণ। তার আগে তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৪৬
১৯৫২ সাল থেকে ইংল্যান্ডের সিংহাসনে রয়েছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ব্রিটিশ ইতিহাসের এত দীর্ঘদিন তাঁর আগে কেউ ক্ষমতায় ছিলেন না। বর্তমানে ৯৪ বছর বয়সেও তাঁকে জনসমাবেশে উপস্থিত হতে দেখা যায় এবং নিয়মিত বাকিংহাম প্যালেস এবং উইন্ডসর ক্যাসলে রাষ্ট্রনেতাদের অভিবাদন জানান।
এরনা সোলবার্গ
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৫২
তাঁকে বলা হয় নরওয়ের অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। প্রথম মেয়াদে মন্দা এরিয়ে, তেল সঙ্কট কাটিয়ে সাফল্যের সঙ্গে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০১৭ সালে সোলবার্গ দ্বিতীয়বারের জন্য নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তিনি রক্ষণশীল অর্থনীতির মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা, যা আদতে সেই দেশের জনগণের প্রয়োজন মিটিয়েছে। এছাড়া বারবারই মহিলাদের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
সিমোনেটা সোমারুগা
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৫৬
২০১৫ সালের পর ২০২০ সালে ফের একবার সুইস কনফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিমোনেটা সোমারুগা। ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বার্ন-এর গ্র্যান্ড কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল।
এলভিরা নাবিউলিনা
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৫৭
২০১৩ সালে রুশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর মনোনীত হন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদামির পুতিনের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, নাবিউলিনা। কোনও জি -৮ সদস্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তিনিই প্রথম মহিলা গভর্নর।
নিকোলা স্টার্জেন
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৫৯
২০১৪ সাল থেকে স্টার্জেন প্রথম মহিলা হিসাবে একদিকে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার অন্যদিকে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময়ে মধ্যে তিনি কঠোরভাবে স্কটল্যান্ডের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। বস্তুত স্টার্জেন স্কটিশদের স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় গণভোটের আয়োজন করেছিলেন, যার ফলে স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্য থেকে বেরিয়ে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে থেকে গিয়েছে।
ইউরিকো কইকে
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৬৩
কইকে প্রথম মহিলা হিসাবে টোকিওর গভর্নর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে তিনি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এর পিছনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তা প্রদান-সহ টোকিও শহরের করোনভাইরাস মহামারি ভালোভাবে সামলানোর সাফল্যই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। কইকে একদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন বলে মনে করা হয়।
সোফি উইলমেস
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৭১
২০১৯-এর অক্টোবরে উইলমেস বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী হন। সেই দেশের ১৮৯ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মহিলা প্রধান। তাঁর দল ফ্রাঙ্কফোন লিবারাল পার্টি বেলজিয়ামের চতুর্থ বৃহত্তম দল।
মেটে ফ্রেডেরিক্সেন
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৭৫
২০১৯ সালের জুন মাসে ফ্রেডেরিক্সেন ডেনমার্কের ইতিহাসে সর্বকণিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী এবং দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেইসঙ্গে তিনি ২০১৫ সাল থেকে ডেনমার্কের বামপন্থী সোশ্যালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর মুখের উপর 'গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়' বলে আন্তর্জাতিক শিরোনামে এসেছিলেন ফ্রেডেরিক্সেন।
শ্রী মুলানী ইন্দ্রবতী
সামগ্রিকভাবে র্যাঙ্ক ৭৮
বিশ্বব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিওও-র দায়িত্ব পালন করার পর ফের ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রীর ভূমিকায় ফিরে এসেছেন ইন্দ্রবতি। ২০১৯ সালে ইন্দ্রবতী-কে বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলনে সেরা মন্ত্রীর পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
জুজানা চাপুতোভা
সামগ্রিকভাবে ব়্যাঙ্ক ৮৩
২০১৯-এর জুন মাসে স্লোভাকিয়ায় রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে দুর্নীতি দমন বিরোধী কর্মী ও আইনজীবী হিসাবে কাজ করতেন চাপুতোভা। ৪৭ বছর বয়সী এই মহিলাই স্লোভাকিয়া-র সর্বকনিষ্ঠ এবং প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি।