- Home
- World News
- International News
- অফুরন্ত পানীয় থেকে সুন্দরী তরুণী, দেখে নিন কিম জং উনের বিলাসবহুল ট্রেনের অন্দর
অফুরন্ত পানীয় থেকে সুন্দরী তরুণী, দেখে নিন কিম জং উনের বিলাসবহুল ট্রেনের অন্দর
- FB
- TW
- Linkdin
এই পৃথিবী বহু স্বৈরাচারী শাসককে রাজত্ব করতে দেখেছে। যাঁদের সকলরেই নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। তেমনই বর্তমান সময়ের এক স্বৈরাচারী শাসক উত্তর কোরিয়ার সর্বময় কর্তা কিম জং উন। যাঁর সঙ্গে তুলনা করা যায় হিটলারের স্বভাবের। সেই কিম মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল এক বিশেষ ট্রেন।
কিম জন উনকে অনেকে উন্মাদ বলে মনে করেন। তবে রঙিন জীবন খুবই পছন্দ তাঁর। একটি নিজস্ব ট্রেন রয়েছে কিমের। এই ট্রেনের বিশেষত্ব, ২টি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হয়। কিম যখন এই ট্রেনে করে ভ্রমণ করেন তখন পাশ দিয়ে অন্য কোনও ট্রেন চলার অনুমতি দেওয়া হয় না।
সম্প্রতি হংকং-এর সংবাদমাধ্যম দাবি করে কিমের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই আমেরিকার স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে কিমের এই বিশেষ ট্রেনটির ছবি।
কিমের এই বিলাসবহু ট্রেনে ২০টিরও বেশি বগি রয়েছে। প্রতিটি বগিতে রয়েছে বিলাসবহুল জীবনের সবরকমের রশদ। আরামদায়ক গোলাপি সোফার ব্যবস্থা রয়েছে কিমের জন্য। এছাড়াও ট্রেনটির প্রতিটি বগিতে রয়েছে কনফারেন্স হল এবং স্যাটেলাইট টিভির ব্যবস্থা।
খেতে পছন্দ করেন কিম জং উন। তারজন্য সুস্বাদু খাবারের এলাহি ব্যবস্থা রয়েছে এই বিশেষ ট্রেনে। তারসঙ্গে রয়েছে অফুরন্ত পানীয়ের সম্ভার।
তবে ট্রেনটির বিশেষত্ব হল, এখানকার সব কর্মীরাই সুন্দরী যুবতী। কিমের মনোরঞ্জন করাই তাঁদের কাজ।
এই ট্রেনে মহিলাদের নিয়োগ করার সময় কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তবে প্রথম টাইটেরিয়া হল তাঁকে সুন্দরী হতে হবে।
শোনা যায় কিমের এই বিশেষ ট্রেনে নিয়োগ করার আগে মেয়েদের কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলে তাঁকে চাকরিতে নেওয়া হয় না।
কিমের মনোরঞ্জন করাই এই মহিলাদের একমাত্র কাজ। এঁরা সকলেই কিমের প্লেজার ব্রিগেডের অংশ। এঁদের কেউই অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন না।
কিম এই বিশেষ ট্রেনে করেই রাশিয়া, ভিয়েতনাম এবং চিন ভ্রমণ করেছেন। ট্রেনের সামনের ও পিছনে থাকেন তাঁর দেহরক্ষীরা।
যেহেতু এই ট্রেন করে ভ্রমণ করেন স্বয়ং কিম তাই এর সুরক্ষার বিষটিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটির চলাচল করার জন্য অনেকগুলি উপায় রয়েছে।
কিম কোন পথে যাত্রা করবেন তা আগে থেকে কেউ জানতে পারেন না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন উত্তর কোরিয়ার সর্বময় কর্তা নিজেই।