- Home
- World News
- International News
- এবার আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি কিমের বোনের, বাইডেনকে বললেন ঘুমাতে চাইলে এই পদক্ষেপ নেবেন না
এবার আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি কিমের বোনের, বাইডেনকে বললেন ঘুমাতে চাইলে এই পদক্ষেপ নেবেন না
- FB
- TW
- Linkdin
মার্কিন রাষ্ট্র প্রধানের বদল হয়েছে। কিন্তু একই থেকে গেল উত্তর কোরিয়া। এবার কিম জং উন নয় তাঁর বোন প্রভাবশালী কিম ইয়ো জং সরাসরি নিশানা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তিনি সরাসরি বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যদি ভালোভাবে ঘুমাতে চান তাহলে যেন এজাতীয় সিদ্ধান্ত না নেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ যে উত্তর কোরিয়া ভালোভাবে নেয়নি তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন কিম ইয়ো জং। অন্যদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিস মহড়া দিচ্ছে। যা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আপত্তি জানিয়েছে। বলা হয়েছে তাদের দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন যে সন্তুষ্ট নয় তাই প্রকাশ করেছেন কিম জং উনের বোন। তিনি বলেছেন আগামী চার বছর যদি ভালো করে ঘুমাতে চান তবে শুরু থেকেই এমন পরিস্থিতি তৈরি না করাই ভালো যা আপনার ঘুম কেড়়ে নিতে পারে।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেই দ্বৈরথে গিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। যদিও কিম জং উন ও ট্রাম্প সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য দুটি বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু তাতেই সমাধান হয়নি। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর আন্তর্জাকিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও প্রত্যাক্ষান করেছিলেন কিম। তাঁর শপথ গ্রহণের আগেই নতুন সাবমেরিন চালিত একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপন করে উত্তর কোরিয়া। যা মার্কিন আধিপত্যকে অস্বীকার করার বার্তা হিসেবেই দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে ট্রাম্প ও কিম আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই কোরিয়ার মধ্যে আবারই সম্পর্কের অবনতি হয়।
ইয়ো জং তাঁর ভাই উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের একজন বিশ্বস্ত পরামর্শদাতা। গত বছর থেকেই তিনি উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে তাঁকে দেখা গেছে। অনেকেই তাঁকে কিমের উত্তরসূরি হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পিয়ংইয়ং এখনও সেই বিষয়ে কোনও কিছুই জানায়নি।
সূত্রের খবর আমেরিকার ওপর চাপ তৈরি করতেই কিম ইয়ো জং-এর এই মন্তব্য। যা মার্কিন প্রতিনিধিদের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের আগে প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।