- Home
- World News
- International News
- ঘন হলুদ ধোঁয়াশার আচ্ছাদনে শহর, চোখ-মুখ ঢেকে বাসিন্দারা - কোন নতুন বিপর্যয় বেজিং-এ, দেখুন
ঘন হলুদ ধোঁয়াশার আচ্ছাদনে শহর, চোখ-মুখ ঢেকে বাসিন্দারা - কোন নতুন বিপর্যয় বেজিং-এ, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
জানা গিয়েছে, এমন অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছিল গোবি মরুভূমি থেকে উঠে আসা এক প্রবল ধূলোঝড়ের কারণে। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ধুলোঝড় ছিল এটা, এমনটাই বলছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
ধুলোবালির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বেজিংবাসীদের গগলস, মাস্ক এবং হেয়ারনেট ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বেজিং-এর স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় কোলা মাঠে কোনও খেলাধুলা বা অন্য অনুষ্ঠান না করার জন্য। বাতিল হয়েছে শয়ে শয়ে উড়ান। জনসাধারণকেও বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
চিনা আবহাওয়া এজেন্সিগুলি জানিয়েছে, উত্তর মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে চিনের পুরো উত্তরাংশ জুড়ে ধুলোঝড়ের ফলেই এদিন বেজিং-এর বাতাসের মানের অত্যন্ত খারাপ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। এদিন বেজিংয়ের দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়ায় ৫০০ মিটারেরও কম।
এই ধরণের ধুলোঝড় জনিত প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধে যেখানে যেখানে বনাঞ্চল পাতলা হয়ে গিয়েছে, সেখানেই নতুন গাছ লাগানো শুরু করেছে চিন সরকার। প্রকল্পের নাম 'সবুজ প্রাচীর'। এর ফলে উত্তর চিনে ধুলোঝড়ের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে, এবং হলেও তার তীব্রতা থাকবে অনেক কম - গত বছর এমনটাই দাবি করেছিল বেজিং।
তবে এই সবুজ প্রাচীর এই দেশের উত্তর-পশ্চিমে বিরাজমান মরুভূমির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তাই নিয়ে বিতর্ক ছিলই। বেজিং-এর পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্যান জিয়াওচুয়ান জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে বৃষ্টি এবং তুষারপাতত একেবারেই না হওয়ার, মরুভূমি অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গিয়েছে। এরফলে ধুলোঝড় বা আঁধিগুলির তীব্রতা 'অত্যন্ত মারাত্মক' হয়ে উঠেছে। আর দুলো ঝড়গুলি বায়ুমণ্ডলের অনেক উপর দিয়ে আসছে বলে,বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বিশেষ কার্যকর হচ্ছে না। তাই ধুলোকনা বাতাসে বয়ে রাজধানীতে পৌঁছে যাচ্ছে।
তবে, বেজিং-এর অনেক নাগরিকই জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে প্রাক-মহামারী স্তরের উৎপাদনে পৌঁছনোর জন্য ইস্পাত, সিমেন্ট এবং অ্যালুমিনিয়াম উত্পাদন কারখানাগুলি দারুণভাবে কাজে নেমে পড়েছে। এই তীব্র শিল্প তৎপরতার ফলে আরও খারাপ হয়েছে বেইজিংয়ের বাতাসের মান।
গ্লোবাল টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী সোমবার সকালে বেজিং ও ছয়টি শহরতলীর জেলায় পিএম ১০ (বড় কণা) দূষণের পরিমাণ ছিল সীমা থেকে ১৬০ গুণ বেশি। পিএম ২.৫ (ছোট কণা)-র পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৩০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি।