- Home
- World News
- International News
- অন্তর্মুখী হওয়ায় প্রথম বিয়ে টেকেনি জিনপিংয়ের , দ্বিতীয় স্ত্রী আবার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় চিনে
অন্তর্মুখী হওয়ায় প্রথম বিয়ে টেকেনি জিনপিংয়ের , দ্বিতীয় স্ত্রী আবার প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় চিনে
শি জিনপিং ২০১২ সালে চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক। জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর কর্তৃত্ববাদের আরও আগ নতুন যুগের সূচনা হয় চিনে। পরাক্রমশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে চিনের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে জিনপিং একের পর এক পরিকল্পনা সাজিয়ে চলেছেন। পাশাপাশি দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের কন্ঠ রুদ্ধ করার দুর্নামও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ব্যক্তিগত জীবনে পরাক্রমশালী লৌহমানব জিনপিং নাকি একেবারেই অন্তর্মুখী প্রকৃতির। চিনের রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, জিনপিংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষে উঠে আসার পিছনে অন্যতম কারণ নাকি তাঁর স্ত্রী।
- FB
- TW
- Linkdin
শি জিনপিং ছিলেন অন্তর্মুখী প্রকৃতির এবং সবার সাথে দূরত্ব রেখে চলতেন। এটা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সাহায্য করলেও প্রথম বিয়েটা ভেঙে যায় এর কারণে।
প্রথমে তিনি একজন কূটনৈতিকের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর ১৯৮৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন পেং লিউয়ানকে।
যখন দু’জনের বিয়ে হয়েছিল, পেং তখনই রীতিমতো জনপ্রিয়। জিনপিং তখন সবে মাত্র শিয়ামেন শহরের ডেপুটি মেয়র। বেশ কয়েক মাস প্রেমের পর গাঁটছড়া বাঁধেন দু’জনে।
এর পর অন্য কমিউনিস্ট নেতাদের মতোই ধীরে ধীরে পদোন্নতি হয় জিনপিংয়ের। ক্রমশ দলের উপরের দিকে উঠে আসতে থাকেন তিনি। বাড়তে থাকে ক্ষমতা।
এ নিয়ে অবশ্য নানা মত। অনেকেরই দাবি, জিনপিংয়ের তুলনায় পেং লিউয়ান অনেক বেশি জনপ্রিয়।
বস্তুত পক্ষে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, জিনপিংয়ের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষে উঠে আসার পিছনে অন্যতম কারণ তাঁর স্ত্রী। যিনি কয়েক দশক ধরে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন অগণিত দর্শককে।
পেং লিউয়ান চীনের জনপ্রিয় লোক সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বিভিন্ন প্রোপাগান্ডামূলক গান গেয়ে থাকেন।
শি জিনপিং রাজনীতিতে অনেক উন্নতি করলেও তার চল্লিশ এমনকি পঞ্চাশের দশকের বয়স পর্যন্তও লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকতেন। তাকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সবাই পেং লিউয়ানের স্বামী হিসেবেই চিনত চিনের লোকজন ।
তাঁদের একমাত্র মেয়ে শি মিংজের জন্ম হয় ১৯৯২ সালে। যদিও তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না।
চিনে মাও জে দং ছাড়া আর কোনও প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকেই সরাসরি রাজনীতিতে বা সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসতে দেখা যায়নি। সেখানে পেং কিন্তু ব্যাতিক্রম।
পেং লিউয়ান শুধু গায়িকাই নন, ১৮ বছর বয়সে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ‘লিবারেশন আর্মি’র যোদ্ধা হিসেবে।