- Home
- World News
- International News
- করোনা সংকটে জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রায় সব রাষ্ট্রনেতাদের, ব্যতিক্রম শুধু তিনজন
করোনা সংকটে জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রায় সব রাষ্ট্রনেতাদের, ব্যতিক্রম শুধু তিনজন
করোনাভাইরাস মহামারি-তে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে পৃথিবী। আর এই প্রাদুর্ভাবে বিশ্বজুড়ে রোজ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে চলেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে জনগণেরর কাছে তাদের রাষ্ট্রনেতাদের অনুমোদনের হার ক্রমে বাড়ছে। কয়েকজন হাতে গোনা রাষ্ট্রনেতা, ছাড়া, ফোর্বস পত্রিকার সমীক্ষা অনুযায়ী বাকি সকলেরই জনপ্রিয়তা এই সংকটের সময়ে বেড়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
অ্যাঞ্জেলা মর্কেল- জার্মান চ্যান্সেলর-এর অনুমোদনের রেটিং মার্চের শুরুর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৭৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
জাস্টিন ত্রুদো - কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো-রও জনসমর্থন ৫ শতাংশ বেড়ে ৭৪ শতাংশে পৌঁছেছে। তাঁর দল লিবারাল পার্টির পক্ষেও দারুণ সমর্থন বেড়েছে।
গিসেপ্পে কন্টে - করোনাভাইরাস-এর প্রকোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ইতালির নাম থাকলেও সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী গিসেপ্পে কন্টের জনপ্রিয়তা দারুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই মুহূর্তে তাঁর জনপ্রিয়তার হার সর্বোচ্চ, ৭১ শতাংশ।
নরেন্দ্র মোদী - বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও জনপ্রিয়তা এই সংকটে বেড়েছে। এই বছরের শুরুতে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের জেরে তাঁর অনুমোদন রেটিং ছিল ৬২ শতাংশ। এপ্রিলের মাঝামাঝি তা ৬ শতাংশ বেড়ে ৬৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
বরিস জনসন - ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিরোধে ধীর প্রতিক্রিয়ার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, তিনি নিজে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মার্চ মাসে তার অনুমোদনের রেটিং ৫ শতাংশ বেড়ে ৫২ শতাংশে পৌঁছেছে।
এমানুয়েল ম্যাক্রঁ - একইভাবে ফ্রান্সেও আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাপিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল ম্যাক্রঁ-র অনুমোদনের রেটিং প্রায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে এখন ৫১ শতাংশে পৌঁছেছে। যা, তিনি ২০১৮ সালের জুনের পর থেকে আর পাননি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প - এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জনগণ কিন্তু এর জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলছে। তাঁদের মতে এই সংকট তাঁরা সামলাতে পারছেন না। মার্চের শুরুতে ট্রাম্প যখন লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন তখন তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছিল। এখন তাঁর অনুমোদনের রেটিং ৪৯ শতাংশ থেকে কমে ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
শিনজো আবে - ট্রাম্পের মতোই অবস্থা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর। কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব-কে শুরুতে তিনি হালকাভাবে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ নাগরিকদের। পরে কিছু সদর্থক পদক্ষেপ নিলেও এই মুহূর্তে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৫ শতাংশ-এরও বেশি কমে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। অথচ আরও বেশি সংখ্যক মানুষ জানিয়ে দিয়েছেন আবে প্রসাসনের উপর তাঁদের ভরসা নেই।
জাইর বোলসোনারো - সম্ভবত এই সংকট মোকাবিলায় সবচেয়ে সমালোচিত রাষ্ট্রনেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তাঁর অনুমোদন রেটিং এই মুহূর্তে ২৮ থেকে ৩৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। প্রায় ৪০ নাগরিক সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সংকট মোকাবিলায় তাঁরা বোলসোনারো-র উপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
কেন এই নেতা ভক্তি? ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, সংকটের সময় কোনও একটি রাষ্ট্রের মানুষ, সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রদানের পাশে থাকতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করে। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর সেই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ-এর অনুমোদন রেটিং পৌঁছেছিল ৮৯.৮ শতাংশে।