PM Modi Rome visit: দেশ থেকে বিদেশ, মোদীর মুখে গান্ধীজির আদর্শ
প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা যায় মহাত্মা গান্ধীর স্তূতি। দেশ থেকে বিদেশ সব জায়গাতেই গান্ধীজির বাণী উল্লেখ করেন তিনি। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় হোক বা বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে কোনও ভাষণ দেওয়াই হোক না কেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গান্ধীজির আদর্শের কথা উল্লেখ করতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী, বিদেশে কোথাও গান্ধীজীর মূর্তি দেখলে সেখানে শ্রদ্ধা জানাতেও কখনও ভোলেন না তিনি। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক বিদেশের মাটিতে কোথায় কবে গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোদী।
| Published : Oct 29 2021, 06:29 PM IST / Updated: Oct 29 2021, 07:20 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর। আমেরিকায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। ওয়াশিংটন ডিসিতে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে হাতজোর করে প্রণাম করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এরপর ওই বছরই নভেম্বররের দিকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন মোদী। ব্রিসবেনে মহাত্মা গান্ধীর একটি মূর্তি উন্মোচন করেন। এরপর সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গান্ধীজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর পোরবন্দরে শুধুমাত্র এক মানুষের জন্ম হয়নি...একটা যুগের জন্ম হয়েছিল।"
২০১৫ সালের মার্চ মাসে মরিশাস সফরে গিয়েছিলেন প্রধামন্ত্রী। সেখানেও ফুল দিয়ে বাপুকে শ্রদ্ধা জানান তিনি। গান্ধীজির মূর্তির সামনে বিভিন্ন রঙের ফুল দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ওই বছর ঠিক তার পরের মাস অর্থাৎ এপ্রিলে জার্মানিতে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে হ্যানোভারে মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। এরপর ওই বছর জুলাইতেই তিনি যান তুর্কমেনিস্তানের আশগাবতের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সেখানেও বাপুর একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সংসদ ভবনের বাইরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। কাছে মূর্তিতে ফুল দিয়ে প্রণাম করেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
ভারতে আসার আগে বহু বছর দক্ষিণ আফ্রিকাতে কাটিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ২০১৬ সালের জুলাইতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন মোদী। তখন সেখানে গান্ধীজির সঙ্গে সম্পর্কিত সব জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর জোহানেসবার্গ ও সর্বোদয়াতে গান্ধীজির মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন।
এমনকী, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে ট্রেনেও চড়েছিলেন মোদী। সেই যাত্রার মধ্যে দিয়েই যেন তিনি ফিরে গিয়েছিলেন ১৮৯৩ সালে। যখন গায়ের রঙের জন্য গান্ধীজিকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই স্মৃতিচারণ করতেই ডারবানের পেনট্রিচ স্টেশন থেকে পিটারমারিৎজবার্গ পর্যন্ত সফর করেছিলেন মোদী।
২০১৬ সালে কেনিয়া সফরেও গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। সেখানে বাপুকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাঁর দেওয়া শিক্ষাগুলিকেও স্মরণ করেছিলেন। গান্ধী মূর্তির সামানে মাথা নিচু করে হাতজোর করে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে।
২০১৭ সালের জুলাইতে পর্তুগাল সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে পর্তুগীজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কোস্টার সঙ্গে লিসবনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের ফেব্রিয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও গান্ধীজির একটি আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি। শিওলের ওনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়া প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের সঙ্গে ওই মূর্তি উদ্বোধন করেছিলেন। সেখানেও বক্তব্য রাখার সময় বাপুর উক্তি তুলে ধরেছিলেন মোদী।
এবারও তার অন্যথা হয়নি। এই মুহূর্তে রোম সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেননি তিনি। রোমেও বাপুর আবক্ষ মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোদী।