- Home
- World News
- International News
- ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন তিনিই, গণভোটে জনসমর্থন গেল পুতিনের দিকেই
২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকবেন তিনিই, গণভোটে জনসমর্থন গেল পুতিনের দিকেই
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিতর্কিত সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে আজীবনের জন্য ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন। সেই দাবিই এবার সত্যি হতে চলল। রুশ সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে আয়োজিত গণভোটে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন রাশিয়ার সিংহভাগ ভোটার। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিপুল ব্যবধানে জিতেছে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব। ফলে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকতে আর বাধা রইল না পুতিনের।
| Published : Jul 02 2020, 09:50 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সংবিধান সংশোধনের গণভোটে জনগণের সমর্থন পাওয়ায় ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম হলো ভ্লাদিমির পুতিনের। রাশিয়ার সংবিধান সংশোধনের গণভোটে জনগণের সমর্থন পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ থাকছে তাঁর।
রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গেছে। ১ জুলাই ছিল গণভোটের শেষ দিন।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব জেতার সব আয়োজন শেষ করার পরই গণভোট আহ্বান করেছিলেন পুতিন।
সংবিধান সংশোধনে গণভোট পুতিনের পক্ষে যাওয়ায় আরও দুই মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এর ফলে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতলে আরও ১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন পুতিন।
রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, চলতি বছর ক্ষমতা ত্যাগ করতে হতো পুতিনকে। এর আগে এই ধরনের পরিস্থিতিতে পুতিন ৪ বছরের জন্য ক্ষমতা দিয়েছিলেন বিশ্বস্ত দিমিত্রি মেদভেদের হাতে। কিন্তু এবার আর তা করেননি পুতিন। সরাসরি সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তবে কখনো প্রধানমন্ত্রী আবার কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই দশক ধরে ক্ষমতা আছেন পুতিন। গত জানুয়ারিতেই আরও দুবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনের খসড়ায় স্বাক্ষর করেন পুতিন।