- Home
- World News
- International News
- নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর প্রতিবাদ, চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও বিদ্রোহে উত্তাল হংকং
নয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর প্রতিবাদ, চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও বিদ্রোহে উত্তাল হংকং
চিনের পার্লামেন্টে মঙ্গলবার হংকং নিরাপত্তা আইন পাস হয়েছে।যাতে স্বাক্ষর করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফলে এটি এখন আইনে পরিণত হলো। এই আইনের কারণে স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের ওপর চিনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হল। ফলে তাঁদের স্বাধীনতা এবার বিপদের মুখে পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন হংকংবাসী। ফলে চিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ, বিদ্রোহে উত্তাল হয়ে উঠেছে হংকং।
| Published : Jul 01 2020, 05:30 PM IST / Updated: Jul 01 2020, 05:34 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে হংকং এর ক্ষমতা পায় চিন। ঠিক হয় চিন কমপক্ষে ৫০ বছরের জন্য হংকংয়ের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। তখন থেকেই হংকং ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছে। কিন্তু তার বদলে এবার হংকং এর জন্য নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন নিয়ে এল চিন।
গত মাসেই চিন ঘোষণা করে, তারা হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন জারি করতে যাচ্ছে। চিনের এই ঘোষণায় বিক্ষোভ শুরু করেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীরা।
এই আইনে বলা হয়েছে বিচ্ছিনতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ করলে সর্বনিম্ন ৩ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন জেল হতে পারে।
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে প্রতিবাদীদের দ্বারা যদি জনপরিবহণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে তা সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত বছর থেকে চিনা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয় হংকং।
হংকংকে সাহায্য জুগিয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো ক্ষমতাশালী দেশ। তাই নতুন আইন এনে সেই বিদ্রোহকেই আটকাতে চাইছে বেজিং।
এই আইনের কঠোর নিন্দা করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বলেছিলেন, "৫০ বছরেরে স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ছিল হংকং পেল মাত্র ২৩ বছর।"
যদিও চিন বলছে আইনটি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি নয়। তবে পাশ্চাত্যের দেশগুলি বলছে, হংকং এতদিন যে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছে, নতুন নিরাপত্তা আইনের কারণে তা আর পাবে না। ফলে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে হংকংয়ে।
হংকংয়ে আইনটি কার্যকর হওয়ার প্রথমদিনই বিক্ষোভ বিদ্রোহে উত্তাল হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে এসেছেন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।
আইনটির আওতায় ইতিমধ্যে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে।