- Home
- World News
- International News
- পরিস্থিতি ক্রমেই যাচ্ছে আয়ত্বের বাইরে, এই মুহুর্তে ভোট হলে পরাজয় নিশ্চিত ট্রাম্পের
পরিস্থিতি ক্রমেই যাচ্ছে আয়ত্বের বাইরে, এই মুহুর্তে ভোট হলে পরাজয় নিশ্চিত ট্রাম্পের
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা ও দেশ জুড়ে চলা বর্ণবিক্ষোভের আঁচ যে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পড়ছেই, তার ইঙ্গিত মিলছে চলতি সপ্তাহে করা দেশের বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষায়।
জনমত সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ব্যবধান ক্রমশ বাড়ছে। যা অতীতে ২০১৬ সালে ট্রাম্প বনাম হিলারী ক্লিন্টন, ২০১২ সালে বারাক ওবামা বনাম মিট রমনি, ২০০৮-এর বারাক ওবামা বনাম জন ম্যাকেইন অথবা ২০০৪-এর জর্জ ডব্লু বুশ বনাম জন কেরির লড়াইতে দেখা যায়নি।
নিউ ইয়র্কের সিয়েনা কলেজের করা একটি সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে ট্রাম্পের থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। ১৭-২২ জুনের মধ্যে ১৩৩৭ জন ভোটারকে নিয়ে করা ওই সমীক্ষায় ট্রাম্পকে ফের হোয়াইট হাউসে দেখতে চেয়ে ভোট দিয়েছেন ৩৬ শতাংশ। আর ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থীকে দেখতে চেয়েছেন ৫০ শতাংশ।
ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের উপরে ভরসা রাখছেন মূলত অ-শ্বেতাঙ্গেরা।
উইসকনসিনের মার্কেট বিশ্ববিদ্যালয়ের করা সমীক্ষাতেও ট্রাম্পের থেকে ৮ শতাংশ বেশি সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন।
রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ওহায়োর কিনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়েছেন ট্রাম্প।
বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা দি ইকোনমিস্টের সমীক্ষার ফলও ট্রাম্পের জন্য সুখকর নয়। দি ইকোনমিস্টের সমীক্ষা বলছে, গত শুক্রবার নির্বাচন হলে ইলেক্টোরাল কলেজে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। আর তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক জো বাইডেনের সম্ভাবনা ছিল ৮৯ শতাংশ।
দি ইকোনমিস্টের সমীক্ষা অনুযায়ী আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমবেশি ৪৬ শতাংশ ভোট পাবেন ট্রাম্প। আর বাইডেন পাবেন ৫৪ শতাংশ ভোট।
সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা, মিচিগান, পেনিসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং উইসকনসিনে ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন জো বিডেন। যদিও ফ্লোরিডাতে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের ভূমিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বিডেনের থেকে এগিয়ে আছেন। ২০১৬র নির্বাচনে এই ৬ টি প্রদেশেই জয়ী হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যদিও এই জনমত সমীক্ষার ফলাফল পছন্দ হয়নি মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এজন্য ট্যুইট বার্তায় তিনি আক্রমণ করেছেন সংবাদমাধ্যমকেই। এবং এই সমস্ত খবরকেই তিনি ফেক নিউজ বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
সমীক্ষায় জানা গেছে, অভিবাসন নীতি, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ সামলানোর নীতি, জাতি বিদ্বেষ প্রভৃতি বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ ভালোভাবে নেননি আমেরিকার অধিকাংশ অধিবাসী।