- Home
- World News
- International News
- ১২ আগস্টের মধ্যে আসছে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন, দুনিয়াকে আশার আলো দেখাচ্ছে রাশিয়া
১২ আগস্টের মধ্যে আসছে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন, দুনিয়াকে আশার আলো দেখাচ্ছে রাশিয়া
করোনার গ্রাসে গোটা বিশ্ব। দুনিয়া তাকিয়ে ভ্যাকসিনের দিকে। এই আবহে আগেই আশার আলো দেখিয়েছিল রাশিয়া। এবার আর দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের দরবারে করোনার ‘ভ্যাকসিন’ আনার দাবি করছে রাশিয়ার। সব কিছু ঠিকঠাক চললে অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তাঁদের তৈরি করোনার ‘ভ্যাকসিন’ বাজারে এসে যাবে বলে দাবি করছে পুতিনের দেশ।
- FB
- TW
- Linkdin
১০ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসছে, এমনটাই দাবি করছে রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার মিলিটারি ও সরকারি গবেষকদের দ্বারা প্রস্তুত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বর্তমানে দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালে রয়েছে। ১০ অগাস্ট বা তার আগেই রাশিয়ার গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বাজারে ব্যবহার করার অনুমোদন পাওয়া যাবে।
এই ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে গেলে সবার আগে করোনার ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থায় রেজিস্ট্রেশনের পর ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে তা সাধারণের জন্য বাজারে আনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তি দাবি করে, ১৫ থেকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পেতে পারে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনেই তাদের করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে, গবেষণার সময়সীমা কমিয়ে আনার কোনও চেষ্টা হয়নি।
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ৪ নম্বরে রয়েছে রাশিয়া। আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখের বেশি মানুষ। তাই দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে চাইছে পুতিনের দেশ। সেকারণে মানব দেহে পরীক্ষার মাত্র তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে রাশিয়া। যদিও এত গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন নিয়ে এই তাড়াহুড়ো অন্যান্য অনেক দেশের মনপসন্দ নয়।
এদিকে রাশিয়ায় দ্বিতীয় করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও শুরু হয়েছে। রাশিয়ার সরকার অনুমোদিত একটি ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট দেশের দ্বিতীয় করোনা ভ্যাকসিনের মানব দেহে পরীক্ষা শুরু করেছে। গত ২৭ জুলাই তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে ৫ স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে। তাঁরা সকলেই ভাল আছেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।
কদিন আগে ইংল্যান্ড, কানাডা ও আমেরিকা এক যোগে অভিযোগ করে, রুশ হ্যাকাররা তাদের করোনা টিকা ও ওষুধ সম্পর্কিত গবেষণা চুরির চেষ্টা করছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে রুশ প্রশাসন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের পরীক্ষাগুলিতে পদ্ধতিগত নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে।
তবে, রাশিয়া এখনও তার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষার বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি, সুতরাং, ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এই ভ্যাকসিন বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। ৩ অগাস্টের পরে তৃতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হতে পারে।
বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের যে সম্ভাবনা রাশিয়ায় দেখা দিয়েছে তাকে ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা বিশ্বের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাশিয়ার অর্থ দফতরের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ। এই অর্থ দফতরই ভ্যাকসিন গবেষণায় অর্থ সরবরাহ করেছে।
শোনা যাচ্ছে রাশিয়া চলতি বছর নিজেদের দেশের জন্য ৩০ মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত করছে তাদের প্রথম কোভিড–১৯ ভ্যাকসিনের। এছাড়া ১৭০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি হবে আগ্রহ প্রকাশ করা পাঁচটি দেশ সহ বাইরের দেশগুলির জন্য।
এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে গোটা বিশ্বে। তার মধ্যে অন্তত ৪টি রয়েছে মানব দেহে ট্রায়ালের তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে। অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা করোনা ভ্যাকসিন পেতে রুশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা আর-ফার্ম ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।