- Home
- World News
- International News
- নাকে খত, লাথি, গ্রেফতার - বেনজির তালিবানি সন্ত্রাস নেমে এল সাংবাদিকদের উপর, দেখুন
নাকে খত, লাথি, গ্রেফতার - বেনজির তালিবানি সন্ত্রাস নেমে এল সাংবাদিকদের উপর, দেখুন
সোমবার, কাবুলে আফগানিস্তানে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশাল মিছিল করেন আফগান জনগণ। যার পুরোভাগে ছিলেন মহিলারা। সেই সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় তালিবান যোদ্ধারা। যার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার তালিবানি হিংস্রতার সেই ভিডিও ও ছবি তোলার জন্য সাংবাদিকদের উপরও চড়াও হল কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীটি।
| Published : Sep 07 2021, 08:59 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
একাধিক আফগান সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বিক্ষোভের খবর করছিলেন যে সাংবাদিকরা, তাদের অধিকাংশকে গ্রেফতার করা হয়, বা ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রায় এক ডজন সসাংবাদিককে মুক্তি দিলেও, চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে তাদের।
আটক আফগান সাংবাদিকরা পরে মুখ খুলেছেন, তবে পরিচয় প্রকাশ করতে অনেকেই ভয় পেয়েছেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এক সাংবাদিক জানিয়েছেন বিক্ষোভের খবর করার জন্য তালিবানরা তাকে মাটিতে নাক খত দিতে বাধ্য করে। আফগানদের প্রতিবাদের ছবি-ভিডিও তোলার জন্য তাকে ক্ষমাও চাইতে হয়। তিনি আরও বলেছেন, আফগানিস্তানে যত দিন যাচ্ছে ততই সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
আফগান টিভি চ্যানেল টোলো নিউজ জানিয়েছে, তাদের ক্যামেরাম্যান ওয়াহিদ আহমদিকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিন ঘণ্টা পর আহমদিকে মুক্তি দেয় তালিবান বাহিনী। প্রথমে তার ক্যামেরা নিয়ে নেওয়া হলেো, পরে সব ছবি-সহ আহমদিকে তার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে তার আগে চ্যানেলের প্রধান লতফুল্লাহ নাজাফিজাদা, তালিবান গোষ্ঠীর কাছে তার মুক্তির আবেদন করেছিলেন। পরে নাজাফিজাদা বলেন, আহমদি এবং আরও কয়েকজন সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হলেও, কিন্তু সম্প্রচার যন্ত্র তালিবানরা রেখে দিয়েছে।
আরেক গুরুত্বপূর্ণ আফগান নিউজ টিভি নেটওয়ার্ক আরিয়ানা নিউজের সাংবাদিক, বাইস হায়াতও দাবি করেছেন, তার সহকর্মী সামি জাহেশ এবং ক্যামেরাম্যান শামিমকে এদিনের সমাবেশের খবর করার সময় তালিবানরা আটক করেছিল। হায়াত টুইট করে জানিয়েছিলেন, দুই ঘণ্টারও বেশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তারা কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন, কেউ জানে না।
বিক্ষোভ কভার করতে যাওয়া আরেক আফগান সাংবাদিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তার প্রেস কার্ড এবং ক্যামেরা বাজেয়াপ্ত করেছে তালিবানরা। তাকে লাথি মেরে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। তিনি জানেন না, প্রেস কার্ড এবং ক্যামেরা আর তিনি পাবেন কিনা।