- Home
- World News
- International News
- Afghanistan:কাবুল কব্জা করে 'শান্তির বাণী', আফগান রাজধানীতে ঢুকে উল্টোসুর তালিবানদের
Afghanistan:কাবুল কব্জা করে 'শান্তির বাণী', আফগান রাজধানীতে ঢুকে উল্টোসুর তালিবানদের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করার মাত্রে এক মাসের মধ্যেই গোটা আফগানিস্তান কবজা করে নিল তালিবানরা। প্রথম দিকে কিছুটা হলেও প্রতিহত করতে পেরেছিল আফগানিস্তানের আশারফ ঘানির সরকার। কিন্তু ক্রমশই আফগান সরকার কোনঠাসা হয়ে পড়ে। গজনি, জালালাবাদ আর একটা সময় তালিবান বিরোধী মাজার-ই-শরীফ কার্যত বিনা যুদ্ধেই সাদা পতাকা উড়িয়েছে তালিবানরা। জালালাবাদ দখলের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তালিবানরা কাবুলে প্রবেশ করে। তবে তালিবানরা ঘোষণা করেছে জোর করে কাবুল দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
| Published : Aug 15 2021, 03:58 PM IST / Updated: Aug 15 2021, 04:20 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কাবুলে প্রবেশ করল তালিবানরা। রবিবার সকালেই জালালাবাদে জাতীয় তুলেছিল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কালুবে নেমে পড়ল তালিবানদের হেলিকপ্টার।
তবে কাবুলে ঢুকলেও তালিবানরা স্পষ্ট করে জানিয়েছে জোর করে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। শান্তিপূর্ণ আত্মসমপর্ণের জন্য আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে তালিবানরা।
ছবি সৌজন্যঃ আলজাজিরা
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে কাবুল জুড়ে রয়েছে তালিবান বাহিনী। তবে নেতৃত্বের কথায় তালিবান বাহিনীর পুরো অংশ কাবুলে প্রবেশ করেনি। কাবুলে বসবাসকারী আফগান ও বিদেশি নাগরিকদের জীবন সুরক্ষিত রয়েছে বলেও তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
তালিবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কোনও প্রতিশোধ নিতে চায় না। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা সরকারের সামরিক বাহিনীর সদস্য তাদের সকলকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কাবুলের নাগরিকদের আতঙ্কিন না হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যদিও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে এখনও যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়েই কাবুলে ঢুকেছে তালিবানরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী এখনও সরকারের শহর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে বলেও জানান হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেছেন তালিবানরা তোরখাম সীমান্ত অতিক্রম করেছে। এটি আফগান সরকারের দায়িত্বে থাকা শেষ চেকপোস্ট। এই এলাকাতেও তেমন কোনও প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি তালিবানদের। কার্যত তালিবানরা বিনা বাধায় কাবুলে ঢুকতে পেরেছে।
রবিবার সকালেই কার্যত বিনা বাধায় জালালাবাদ দখল করে তালিবানরা। তালিবান বিরোধী ঘাঁটি হিসেবে পরিচত মাজার - ই - শরিফেই তাদের কোনও রকম প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। একই ভাবে আগেই তালিবানরা দখল করেছিল গজনি, কান্দাহারসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর।
তালিবানদের জালালাবাদ দখলের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী কাবুলকে কার্যত অবরুদ্ধ করতে ফেলেছিল। কারণে কাবুলে ঢোকার মূল চারটে রাস্তার দখল ছিল তাদের হাতে। তাই রাজধানী শহরে ঢোকা খুবই সহজ ছিল।
অন্যদিকে তালিবানদের সামনে কার্যত হাত তুলে নিয়েছে আফগান সরকার। কারণ দেশের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাত্তার মির্জাকওয়াল বলেছেন কাবুলে কোনও হামলা হবে না। শাস্তিপূর্ণভাবেই সবকিছু হস্তান্তর করা হবে। আফগান সরকারও নাগরিকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে।
কাবুল জালালাবাদসহ রবিবারই তালিবানরা ময়দান ওয়ারদাকে শহরও দখলে নেয়। এই শহর কাবুল থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে। এটি পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয়। কার্যত গোটা আফগানিস্তানেই অলিখিতভাবে তালিবানি সাম্রাজ্য স্থাপিত হয়েছে।