- Home
- World News
- International News
- করোনাভাইরাসের মারণ কাঠি লুকিয়ে রয়েছে হাঙরের পেটে, আশঙ্কার খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা
করোনাভাইরাসের মারণ কাঠি লুকিয়ে রয়েছে হাঙরের পেটে, আশঙ্কার খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রতিষেধকের আশায় বসে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে আশঙ্কার কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন গোটা বিশ্বকে একলপ্তে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করতে গেলে কম করে ৫ লক্ষ হাঙরকে মেরে ফেলতে হবে। কারণ হাঙরের তেল থেকেই তৈরি হবে জীবনদায়ী করোনা টিকা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে হাঙরের লিভার বা যকৃতে রয়েছে সেই উপাদান যা করোনাভাইরাসের প্রিতষেধককে আরও জোরালো করে তুলবে।
- FB
- TW
- Linkdin
গোটা বিশ্বকে একলপপ্তে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রদান করার জন্য হত্যা করতে হবে ৫ লক্ষ হাঙরকে। এই তথ্য দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে হাঙর সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থা শার্ক অ্যালিয়াস।
হাঙরের যকৃত বা লিভারে রয়েছে একটি বিশেষ প্রাকৃতিক উপাদান। যা প্রিতষেধকরে আরও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে। তাই হাঙরের লিখার সংগ্রহ করতে হবে প্রাণিটিকে হত্যা করতে হবে।
হাঙরের লিভযার থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক তেলকে স্কোয়ালিন বলে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এক টন স্কোয়ালিন সংগ্রহ করতে ৩ হাজার হাঙর প্রয়োজন।
সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হিসেবে বলা হয়েছে করোনাভাইরাসের একটি ডোসের জন্য প্রয়োজন হবে আড়াই লক্ষ হাঙরের। আর দুটি ডোসের জন্য লাগবে প্রায় ৫ লক্ষ হাঙর।
গুলপার আর বাস্কিং-এই দুটি হাঙরের দিকেই নজর রয়েছে প্রতিষেধক নির্মাতা সংস্থাগুলির। তার কারণ এই দুই প্রজাতির মধ্যেই প্রাকৃতিক তেল বেশি পরিমাণে থাকে।
শার্ক অ্যালিয়াস জানাচ্ছে বাস্কিং প্রজাতির সংখ্যা তালানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় হাঙর নিধন শুরু হলে তা বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে। পাশাপাশি বাস্কিং প্রজাতির হাঙর চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, হাঙর নিধন নিয়ে। কারণ এর মহামারি কত দিন চলবে? তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রথম দফায় ৫ লক্ষ হাঙর নিধন করা হলেও পরবর্তীকালে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এমনিতেই প্রতিবছর তিন মিলিয়ন হাঙর নিধন করা হয়। তা থেকে প্রসাধনী আর ওষুধ তৈরি হয়।
হঠাৎ করে শার্ক অয়েলের চাহিদা বাড়লে হাঙর লুপ্তপ্রায় প্রজাতি হয়ে পড়তে বেশি সময় নেবে না।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা স্কোয়ালিনের মত সিন্থেটিক উপাদন গবেষকরা পরীক্ষাগারে তৈরির পথটিও খোলা রেখেছেন। কারণ বিজ্ঞানীরাও চাইছেন বন্যপ্রাণি হত্যা না করে কৃত্রিম উপায় প্রতিষেধকের জন্য প্রয়োজনী দ্রব্য তৈরি করতে। তাহলে প্রকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ অনেকটাই সজহ হবে।