- Home
- World News
- International News
- বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রানওয়ে রয়েছে এই দশটি বিমানবন্দরে, চিনে নিন ছবিতে ছবিতে
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রানওয়ে রয়েছে এই দশটি বিমানবন্দরে, চিনে নিন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
কোর্শেভেল অল্টিপোর্ট (ফ্রান্স)
এই বিমানবন্দরটি অবস্থিত আল্পস পাহাড় ঘেরা একটি স্কি রিসর্ট-এ। রানওয়ের দৈর্ঘ মাত্র ৫০০ মিটার। পাইলটদের এই এয়ারপোর্টে বিমান উত্তরণ বা অবতরণের সময় প্রায়শই কুয়াশা, তুষারপাত এবং অন্যান্য বিপজ্জনক আবহাওয়ার মোকাবিলা করতে হয়।
ওয়েলিংটন বিমানবন্দর (নিউজিল্যান্ড)
এই বিমানবন্দরে শুধুমাত্র ছোট বিমান অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এলোমেলো ঝোড়ো বাতাস বয় এই বিমানবন্দরে। তাই এখানে অবতরণ করাটা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। প্রায়শই বিমানগুলি অবতরণের সময় ঝোড়ো হাওয়ায় দুলতে থাকে।
গিসবর্ন বিমানবন্দর (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ডের গিসবর্ন শহরের ঠিক বাইরে এই বিমানবন্দর অবস্থিত। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক হল এই বিমানবন্দরের রানওয়ের ছিক মাঝখান দিয়ে গিয়েছে একটি রেলপথ। ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী বিমান অবতরণের সময়সূচি তৈরি করা হয়।
কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (জাপান)
বিমানবন্দরটি একটি কৃত্রিম দ্বীপে অবস্থিত। এই এলাকায় ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় এবং সামুদ্রিক ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। অবশ্য এই বিমানবন্দর খোলা থাকে শুধু দিনের বেলায়। রাতে টেকঅফ বা ল্যান্ডিং কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
তৃতীয় গুস্তাফ বিমানবন্দর (সেন্ট-বার্থলেমি)
এই এরোড্রোম সর্বসাধারণের জন্য নয়। শুধু ধনকুবের এবং সেলিব্রিটিদের কাউকে কাউকে এই রানওয়েতে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। অবশ্য অতি ক্ষুদ্র রানওয়েতে ২০ আসনের ব্যক্তিগত বিমান ছাড়া আর কোনও বিমান অবতরণ করা সম্ভব নয়। তাও হিসাবে ভুল করলে পড়ে যেতে হতে পারে জলে।
প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সেন্ট মার্টিন)
ক্যরারিবিয়ান দ্বীপুঞ্জের এই বিমানবন্দরটি একেবারে সমুদ্রের তীরে অবস্থিত। তাই সমুদ্রতীরে থাকা মানুষদের প্রায় মাথার ঘেসে উড়ে যায় বিমানটি। অত্যন্ত কম উচ্চতা দিয়ে উত্তরণ ও অবতরণের জন্যই পরিচিত এই বিমান বন্দরটি। রানওয়ে-র শেষেই বালুকাবেলা এবং সমুদ্র হওয়াতে পাইলটদের কাজটা অত্যন্ত জটিল।
নরসার্সুয়াক বিমানবন্দর (গ্রিনল্যান্ড)
এই বিমানবন্দরের রানওয়েটি খুব জটিল নয়। তবে রানওয়েটি অবস্থিত একটা বাটির মতো স্থানে। তাই রানওয়েতে পৌঁছনোর পথটিই এই রানওয়েকে বিশ্বের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। পাইলটদের প্রথমে ঝোড়ো পার্বত্য শিখরের উপর দিয়ে উড়ে আসতে হয়। তারপর শেষে পাহাড় পর্বতের মধ্য দিয়েই ইউ-টার্ন নিয়ে রানওয়েতে আসতে হয়।
বারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (স্কটল্যান্ড)
বিমান অবতরণের জন্য কোনও প্রথাগত বাধানো রানওয়ে নেই এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বস্তুত বিমানবন্দরটিতে একটি সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত। জোয়ারের সময় রানওয়েগুলি ডুবে যায়। কাজেই জোয়ারের সময়ের উপর নির্ধারিত হয় এই বিমানবন্দরে বিমান উত্তরণ ও অবতরণের সময়সূচি।
তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দর (নেপাল)
নেপালের এই বিমানবন্দরটি দেখতে ছবির মতো। কিন্তু, এর রূপে মুগ্ধ হলেও এই বিমানবন্দরে যারা অবতরণ করেন, তাদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগার হয়। তবে সাধারণত, মাউন্ট এভারেস্টের উদ্দেশে যাত্রা করবেন, এমন অভিযাত্রীদেরই পায়ের ধূলো পড়ে এই বিমানবন্দরে। বলে রাখা যাক, মাত্র ১৫০০ ফুট বা ৪৫৭ মিটার দীর্ঘ একটি রানওয়েটি রয়েছে এই বিমানবন্দরে, যা কিনা পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে। আর রানওয়ের শেষ হলে গেলেই ৯,০০০ ফুট গভীর খাদ। নেপালের কিছু দক্ষ পাইলট ছাড়া কেউ এখানে বিমান অবতরণ করতে পারেন না।
জুয়ানচো ই ইরাউসকুইন বিমানবন্দর (ডাচ ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সাবা)
এই বিমানবন্দরটি তেনজিং হিলারি বিমানবন্দরের মতো উঁচুতে অবস্থিত না হলেও এর রানওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম, মাত্র ৪০০ মিটার দীর্ঘ। শুধু তাই নয়, রানওয়েতে পৌঁছনোর রাস্তাটিও খুবই জটিল। বিমানটি একটি উঁচু পাহাড়ের উপর অবস্থিত। অবতরণের ঠিক আগে প্রথমে সেই পাহাড়ের চূড়া লক্ষ্য করে উড়ে যেতে হয়। তারপর অবতরণের ঠিক আগে অনেকটা বাঁদিকে ঘুরলে তবে রানওয়ে পাওয়া যায়।