- Home
- World News
- International News
- ‘আশ্রয় নয় অস্ত্র দিন’, পরাক্রমশালী রুশ সেনার সামনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের হার না মানা লড়াইয়ে বিস্মিত বিশ্ব
‘আশ্রয় নয় অস্ত্র দিন’, পরাক্রমশালী রুশ সেনার সামনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের হার না মানা লড়াইয়ে বিস্মিত বিশ্ব
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে (In the Russia-Ukraine conflict) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় (threat of a third world war) দিন কাটাচ্ছে গোটা বিশ্ব। এদিকে দিন যত এগোচ্ছে ততই কম শক্তিধর ইউক্রেনের উপর কব্জা করে ফেলছে রুশ সেনা। কিন্তু এই আগ্রাসী পুতিন সেনার সামনেও মাথা নত করতে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
| Published : Feb 27 2022, 03:52 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এদিকে সহজ ভাবে দেখতে গেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সবার আগে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল আমেরিকার। তার পরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করেনি ন্যাটো। সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি আমেরিকাও।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। সেই সময়ই কথা ওঠে যে হয়তো প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলেনস্কিকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সপাটে না করে দিয়েছেন তিনিয তাঁর সপাট জবাব, “আমার আশ্রয় চাই না, অস্ত্র চাই। অস্ত্র পাঠান।”
ষুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আমেরিকা ও ইউক্রেনের দুই দেশের নেতাদের কথপোকথনের সময় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, “লড়াই এখানে; আমার গোলাবারুদ দরকার, রাইড নয়।”
বাইডেনের উদ্দেশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, "আমাকে উদ্ধারের প্রয়োজন নেই। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ পাঠান।’ শুক্রবারই একটি ভিডিয়ো বার্তায় জেলেনস্কি বলেছিলেন, “আমি কিভ থেকে পালাইনি। এখানেই রয়েছি।"
এদিন এক ভিডিয়ো বার্তায় রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা সবাই এখানে আছি। আমাদের সেনাবাহিনী এখানে আছে। সমাজের নাগরিকরা এখানে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখানে সবাই আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের দেশকে রক্ষা করছি এবং এই কাজ আমরা এভাবেই করতে থাকব।”
ওই ভিডিওতেই দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সবুজ রঙের সামরিক ধাঁচের পোশাক পরে। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর চিফ অফ স্টাফ এবং ঘনিষ্ঠ সহকারীরা।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে জেলেনস্কির ভিডিওটি। সেখানেই বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্য নতুন বার্তা দেন তিনি।
এদিকে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। মিসাইল হানায় কেঁপে উঠছে শহর। চলছে গুলির লড়াইও। ক্রমেই সাধারণ মানুষ দেশের রাজধানী ছেড়ে পালাচ্ছেন অন্যত্র।
সূত্রের খবর, আমেরিকার তরফে প্রায় সাড়ে তিনশো মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে কথা হয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও।
এদিকে ইউক্রেনের কিয়েভের রাস্তায় জোরদার লড়াই চলছে রুশ সেনা ও ইউক্রেনীয় সেনার মধ্যে। যদিও হাজারও আস্ফালনের পরেও বিগত ৩ দিনে ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া।
এদিকে সহজ ভাবে দেখতে গেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সবার আগে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল আমেরিকার। তার পরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ করেনি ন্যাটো। সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি আমেরিকাও।
এদিকে ইউক্রেনের কিয়েভের রাস্তায় জোরদার লড়াই চলছে রুশ সেনা ও ইউক্রেনীয় সেনার মধ্যে। যদিও হাজারও আস্ফালনের পরেও বিগত ৩ দিনে ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া।
একই সঙ্গে ইউক্রেনের মাটিতে গড়ে ওঠা ২১১টি সামরিক পরিকাঠামো রাশিয়ান সেনা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনের হাতে পৌঁছনো বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের ভাণ্ডারও তারা বাজেয়াপ্ত করেছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও তাদের দাবির সপক্ষে উঠেছে নানা প্রশ্ন।