- Home
- World News
- International News
- লালগ্রহের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল আমিরশাহি-ও, জাপানি রকেটের গুঁতোয় পিছনে পড়ল চিন-আমেরিকা
লালগ্রহের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল আমিরশাহি-ও, জাপানি রকেটের গুঁতোয় পিছনে পড়ল চিন-আমেরিকা
- FB
- TW
- Linkdin
সোমবার জাপানি সময় সকাল ৬টা বেজে ৫৮ মিনিটে দক্ষিণ জাপানের তানেগশিমা স্পেস সেন্টার উৎক্ষিপ্ত হয় মিতসুবিশি সংস্থার তৈরি এইচ-আইআইএ লঞ্চ ভেহইক্যাল। এই রকেটের উপরে সংযুক্ত ছিল আরবি লিপিতে 'আল-আমাল' (বাংলা যার অর্থ আশা) লেখা আমিরশাহির মহাকাশযানটি।
উৎক্ষেপণের পাঁচ মিনিট পরই জাপানি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায় 'আল আমাল', তারপর যাত্রা শুরু করে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে।
২০২০ সালে আরব আমিরশাহির এই মঙ্গল অভিযানের পাশাপাশি চিনের তিয়ানওয়েন -১ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসার একটি মঙ্গল অভিযানের কথা রয়েছে।
এই সময় পৃথিবী ও মঙ্গল সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করছে। নাসার হিসাব অনুযায়ী পৃথিবী থেকে মঙ্গলের গড় দূরত্ব যা, আগামী অক্টোবর মাসে মঙ্গল গ্রহ তার তুলনায় পৃথিবীর ৬ কোটি ২ লক্ষ কিলোমিটার কাছে থাকবে।
তবে এই বৈজ্ঞানিক কারণের পাশাপাশি এই সময়ে মঙ্গল অভিযান করার আরও এক ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জন্য। তাদের বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তাদের মঙ্গলযান, মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে পৌঁছবে। ২০২১ হল সাতটি পৃথক আমিরাশাহির সম্মিলিত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের ৫০ তম বার্ষিকী। কাজেই সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণও করা হবে এই অভূতপূর্ব আরবি মহাকাশ অভিযানের মাধ্যমে।
একবার মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশের পর আরবি মঙ্গলযান লালগ্রহকে পুরো এক মঙ্গল বছর অর্থাৎ পৃথিবীর হিসাবে ৬৮৭ দিন প্রদক্ষিণ করবে। সেখানকার বায়ুমণ্ডলে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির একটি বিস্তৃত চিত্র তৈরি করাই এই অবিযানের প্রধান উদ্দেশ্য। আমিরশাহি বলছে তারা পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে একটি মানব বসতি গড়ে তুলতে চায়। সেই বড় লক্ষ্যের ভিত গঠন হবে তাদের প্রথম মঙ্গল অভিযানে।
১৯৬০ সালে রাশিয়া প্রথম মঙ্গল অভিযানের চেষ্টা করেছিল। তারপর বেশ কয়েক ডজন মঙ্গল অভিযানের চেষ্টা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই চেষ্টা করেছে আমেরিকা। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়নি মঙ্গল অভিযান। অনেকগুলি মঙ্গল অবধি পৌঁছতেই পারেনি, আবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবতরণের সময় ভেঙে পড়েছে মহাকাশ যানগুলি। একমাত্র ভারত প্রথম প্রচেষ্টাতেই সফল হয়েছিল মঙ্গল অভিযানে। ভারত ও আমেরিকা ছাড়া, এখনও পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানে সফল হয়েছে রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।