- Home
- World News
- International News
- পুরাণের পক্ষীরাজ ঘোড়াই আধুনিক বিশ্বের পেগাসাস, জানুন কীভাবে এটি আপনার ফোনেও প্রবেশ করতে পারে
পুরাণের পক্ষীরাজ ঘোড়াই আধুনিক বিশ্বের পেগাসাস, জানুন কীভাবে এটি আপনার ফোনেও প্রবেশ করতে পারে
ইসরায়েলের তৈরি সফটওয়ার পেগাসাস। ২০১৯ সালেই এজাতীয় গুপ্তচর সফ্টওয়ারটি সংবাদ শিরোনামে এসেছিল। ভারতেও এজাতীয় সফ্টওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে বলে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে সংবাদ মাধ্যম থেকে সংসদভবন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিরোধী নেতা, রাজনৈনিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকদের ফোনেও আড়ি পাতাতে নাকি ব্যবহার করা হয়েছে পেগাসাস সফ্টওয়ার। তেমনই দাবি করছে একগুচ্ছ সংবাদ মাধ্য়ম। যদিও কেন্দ্রীয় দাবি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভারতের গণতন্ত্রকে কুলুষিত করতেই এজাতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে।
| Published : Jul 19 2021, 03:20 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পেগাসাস কথার অর্থ হল পক্ষীরাজ ঘোড়া। ভারতীয় পুরানের পাশাপাশি গ্রীক পুরানেও পক্ষীরাজ ঘোড়ার উল্লেখ রয়েছে। ভারতে যেমন সমুদ্র মন্থন থেকে তৈরি হয়েছে পক্ষীরাজ ঘোড়া। গ্রীসে তেমনই এক দানবীর রক্ত থেকে তৈরি হয়েছে পেগাসাস।
আধুনিক বিশ্বে বিশিষ্টদের কাছে রীতিমত ত্রাস এই পেগাসাস। ইসরায়েলের সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থা এনএসও (NSO) গ্রুপ পেগাসাস তৈরি করেছে। ২০১৬ সাল থেকেই এটি সক্রিয়। এটি একটি সফটওয়ার। তেল অ্যাভিবের তৈরি এই সফ্টওয়ার নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
পেগাসাসের প্রথম ব্যবহার করা হয়েচিল ২০১৪ সালে। আরব মানবাধিকার কর্মীর আইফোন হ্যাক করার সময় এই সফ্টওয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ঘটনার পরই আইফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপেল ঘটনার কয়েক দিন পরেও iOS আপডেট প্রকাশ করেছিল।
২০১৭ সালে সাইবার সুরক্ষা গবেষকরা জানিয়ে দেন এজাতীয় সফটওয়ার অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক স্মার্টফোনগুলির সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০১৯ সালে এনএসওর সঙ্গে পেগাসাস নিয়েই ফেসবুকের মতোবিরোধ প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে পেগাসাস সবথেকে পরিশীলিত হ্যাকিং সফ্টওয়ার। যদিও এনএসও দাবি করেছে তারা সফ্টওয়ারটি শুধুমাত্র কোনও দেশের সরকারকেই বিক্রি করে। কোনও ব্যক্তিকে নয়।
পেগাসাসের হ্যাকিং পদ্ধতিঃ
পেগাসাস খুব সহজেও অন্যের ফোনে প্রবেশ করানো যায়। কোনও লিঙ্কের মাধ্যমে পাঠান যায়। লিঙ্কটি ফোনের ব্যবহারকারী ক্লিক করলেই তার ফোনে পেগাসাস সক্রিয় হয়ে যায়। আবার ভয়েস কলের মাধ্যমে এই সক্রিয় করা যায়। সংশ্লিষ্ট ফোনের ব্যবহারকারী তা টেরও পাবেন না।
ফোনের মাধ্যমে বলা কথা, বার্তা, ম্যাসেজ, ছবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, এমনকি ছবিও পেগাসাসের মাধ্যমে অন্যব্যকিত পেতে পারে। ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে প্রতিটি তথ্যই ওই নজরদাররা পেয়ে যাবে। পেহাসাস ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নজরদারী চালানো যায় বলেও দাবি করেছে এনএসও।
এনএসওর দাবি এই সফ্টওয়ারটি তৈরি করা হয়েছিল মূলত জঙ্গিদের কার্যকালাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য।