প্রোমোটারি-রাজের ৫ কাহন, প্রস্তাব ফেরানোয় মহিলাকে বেধড়ক মার পাটুলিতে
- FB
- TW
- Linkdin
আবারও প্রোমোটারের দাদাগিরি এবার পাটুলি থানার অন্তর্গত রবীন্দ্রপল্লীতে। পেশায় অটোচালক বাপ্পা দাসের বাড়িতে শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় প্রোমোটার প্রদীপ ওরফে পুচকা বেশ কয়েকজন মহিলা নিয়ে চড়াও হয়। সেই সময় তার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী অনিতা দাস। বাড়ির বাইরে অনিতাকে বার করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন থেকে বাপ্পা দাসের বাড়িটি ভেঙে প্রমোটিং করার প্রস্তাব দিচ্ছিল স্থানীয় প্রমোটার প্রদীপ। তিনি রাজি না হলে এদিন হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রাতে এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হয় পাটুলি থানায় ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বেআইনি নির্মাণকাজে বাধা দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, বাসিন্দাদের উপর পাল্টা চড়াও হন প্রোমোটার। দুষ্কৃতী দিয়ে বাসিন্দাদের মারধর করা হয়। হুমকি দেয় ডাকাবুকো প্রোমোটার। এবার সেই প্রমোটারকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষা দিল সাধারণ মানুষ। বছর দুয়েক আগে এমনটাই ঘটেছিল দমদম থানা এলাকায়।
বছর তিনেক আগে বাগুইআটির বেসরকারি স্কুলে থাবা বসায় এক কুখ্যাত প্রোমোটার। ভাঙচুর-তাণ্ডব-মারধরে অগ্নিগর্ভ ওই এলাকা। খোদ কাউন্সিলরই ভীত প্রোমোটার-আতঙ্কে। প্রোমোটার রাজের কথা মেনে নেন তিনি। জানা যায়, ১৯৯৭ সালে স্কুলটি তৈরির কিছু বছরের মধ্য়েই জমি ছাড়ার জন্য চাপ আসতে থাকে। গুড়িয়ে দেওয়া হয় গোটা স্কুলবাড়ি। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষককেও রাস্তায় ফেলে চলে মারধর। এরই মধ্যে এলাকাবাসীরা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করতেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে।
আবার ব্য়বসায়িক শত্রুতার জেরেও খুন হয় প্রোমোটার। ২০১৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের এক শীতের রাতে ঠিক এই কারণের খুন হতে হয়েছিল বড়বাজার এলাকার প্রোমোটার মহম্মদ হাসিম ওরফে বাচ্চা কাল্লুকে। তলপেটে গুলি লাগে তাঁর। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই প্রোমোটারের। পরে গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্তকে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। কাকতালীয়ভাবে চলতি বছরেও একই সময় খুন হন বাংলার আরও এক প্রমোটার। তাঁর বাড়ির সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তারও।
আবার প্রোমোটারি-রাজ শহরের পুরনো ভাড়াটেদের উপরেও। কয়েক বছর আগে কলকাতা পুরভোটের আগে শহরের পুরনো ভাড়াটেদের একটা সুখবর দিয়েছিল পুর-প্রশাসন। তা হল, 'জোর' করে ভাড়াটেদের তুলে দিয়ে প্রোমোটার-রাজ চালানোর কারবার বন্ধ করতে চায় পুরসভা। বলা হয়েছিল, ভাড়াটের স্বার্থ রক্ষার্থেই এমন করা হবে। পরে এ নিয়ে আইনের সংশোধনও হয়েছে। কিন্তু ভাড়াটেরা যে এখনও সেই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাননি।