- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Durga Puja 2021 - দুর্গাপুজো ছাপিয়ে গেল পেটপুজো, খাবার ফুরোলো কলকাতার সব রোস্তোরাঁর
Durga Puja 2021 - দুর্গাপুজো ছাপিয়ে গেল পেটপুজো, খাবার ফুরোলো কলকাতার সব রোস্তোরাঁর
কোভিড-১৯ মহামারির (Covid-19 Pandemic) জন্য ১ বছর ধরে চলেছে লকডাউন (Lockdown)। তারপর আরও ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। মানুষ ঘরেই ছিলেন। সুইগি, জোম্যাটোয় খাবার অর্ডার করে বাড়িতে আনিয়ে খেয়েছেন, রেস্তোরাঁয় যাওয়া হয়নি। গত বছরের পুজোতেও নয়। আর তার ফলে এই বছর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2021) সময় কলকাতার (Kolkata) বার এবং রেস্তোরাঁগুলিতে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। এতটাই, যে শহরের অনেক নামী-দামী বার-রেস্তোরাঁকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই দরজা বন্ধ করতে হয়েছে। কারণ, খাদ্য এবং পানীয়ের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল।
| Published : Oct 20 2021, 01:13 AM IST / Updated: Oct 21 2021, 10:45 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে 'হোটেল অ্যান্ড রেস্তোব়্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'র (Hotel and Restaurant Association of Eastern India) সভাপতি সুদেশ পোদ্দার (Sudesh Poddar) বলেন, 'মনে হয়, গত সপ্তাহে প্রতিটি রেস্তোরাঁই মোট অতিথি আগমন এবং আয়ের দিক থেকে, তাদের নিজেদের সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে।' সুদেশ পোদ্দার মন্থন, সাংহাই, এবং এমএস বার এবং লাউঞ্জের মতো বার ও রেস্তোরাঁ চালান।
কিন্তু, তাঁর মুখের কথায় কী আসে যায়? দেখা যাক তথ্য কী বলছে। গত রবিবার, অর্থাৎ মহাষষ্ঠীর দিনই মন্থন (Manthan) এবং সাংহাইয়ের (Songhai) মতো শহরের নামী রেস্তোরাঁগুলি স্টক ফুরিয়ে গিয়েছিল।
শহরের আরেক বিখ্যাত বার কাম রেস্তোরাঁর ট্রিঙ্কাস (Trinca’s)। পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) এই অভিজাত রেস্তোরায় খাবার ও পানীয় ফুরিয়ে যাওয়ায় মহানবমীর দিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদই তাদের শাটার ফেলে দিতে হয়েছিল।
পার্ক স্ট্রিটের মোক্যাম্বো (Mocambo), পিটার ক্যাট (Peter Cat) এবং পিটার হু (Peter Hu)এর মতো রেস্তোরাঁগুলিরও ছিল একই অবস্থা। না তাদের খাবার বা পানীয় ফুরিয়ে যায়নি। তবে লকডাউন শুরুর আগে অর্থাৎ বছর দুয়েক আগেও পুজোর সময় তাদের যা বিক্রি হত, তার তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে।
তবে শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়, ছবিটা একই ছিল ইস্টার্ন বাইপাসের ধারের ওহ! ক্যালকাটা (Oh! Calcutta), মেনল্যান্ড চায়না (Mainland China) বা ফ্লেম অ্যান্ড গ্রিল (Flame & Grill)-এর মতো রেস্তোরাঁগুলিরও। কয়েক দশক ধরে যাঁরা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় আছেন, তাঁরা সকলেই বলছেন, তাঁদের জীবদ্দশায় আগে এমনটা দেখেননি।
শহরের নামী রোস্তোরাঁ মালিকরা জানিয়েছেন, পুজোর সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে, তা আগে কখনও হয়নি। সাধারণত পুজোর সময় সাধারণ দিনের তুলনায় ব্যবসা হয় দ্বিগুণ। কিন্তু এবার একেবারে সারা দিনে মাথা দম ফেলার সময় ছিল না। উৎসবের দিনগুলিতে যা ব্যবসা হয়, তার তুলনায় গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি ব্যবসা হয়েছে এবার।
কলকাতায় এবং বিদেশে চালু একটি রেস্তোরাঁ চেইনের মালিক জানিয়েছেন, এবার, আগের তুলনায় শুধু ২৫ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে তাই নয়, আরও ব্যবসার সুযোগ ছিল। যদি অতিথিদের জন্য আরও টেবিল পাতা যেত, তাহলে রেস্তোরাঁগুলি অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি ব্যবসা করত বলে তাঁর মত।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুজোর সময় কলকাতায় যা দেখা গিয়েছে, তাকে বিশ্ব বলছে 'রিভেঞ্জ ডাইনিং' (Revenge Dining) বা প্রতিশোধের খাওয়া। লন্ডনেও (London) এখন রেস্তোরাঁগুলিতে একটি টেবিল পেতে লোকে হাপিত্যেশ করে মরছে। গত ১৮ মাস ধরে সকলে ঘরের ভিতরে ছিল। এখন আর তারা কোনও বাধা না মেনে রেস্তোরাঁয় এসে খাচ্ছে। এরকমটা আগে কখনও দেখা যায়নি।