শহরের সেরা শরবত কোথায় কোথায়, গলা ভেজান কলকাতার এই ঠিকানায়
শহরের একঘেয়েমি কাটাতে দূরে কোথাও না যেতে পারলেও অনেক সময় মন ভরে যায় মনের মতো শরবত পেলে। কলকাতার কাপলরা হামেশাই ডুব দিতে পছন্দ করেন এই শরবতের সমুদ্রে। এক স্ট্রতে অনেক শেয়ার। সেই জন্য কলকাতার শরবতের দোকানগুলিতে ভীড় লেগেই থাকে। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক, শহরের কোথায় কোথায় আছে সেই সেরা শরবতের সমুদ্র।
- FB
- TW
- Linkdin
শরবত খায় না এমন মানুষ খুব কম আছেন। সবাই সারা বছর শরবত খেতে পছন্দ করেন। তবে হ্য়া যারা স্বাস্থ্য় বেশি সচেতন, তাঁরা ফলের জুসই বেশী খান। তবে টাটকা শরবতে মন ভরাতে গেলে যেতেই হবে উত্তর কলকাতার প্যারামাউন্টে। এখানে সেরা হল ডাবের শরবত। এখানে স্বয়ং সুভাষ চন্দ্র বোসও এসে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার ফাঁকে শরবতে চুমুক দিতেন।
উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কলীবাড়ি পেরিয়ে শ্রীমানি মার্কেটের পাশেই কপিলা আশ্রম। যেখানে কিছু আগেই বোর্ডে লেখা থাকত, একজন ২টি গ্লাস চেয়ে লজ্জা দেবেন না। ১১০ বছরের এই পুরোনো দোকানে কেশর মালাই , রোজ মালাই, আবার খাই, আমের শরবত খেতে ভীড় জমাতেন উত্তম-সুচিত্রা সহ আরও নামীদামি অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।
কেশর বাদাম, মিল্ক শেক, কেশর ঠান্ডাই, গ্রীণ ম্য়াঙ্গো শুনে লোভ লাগলে গলা ভেজাতে যেতেই পারেন শিব আশ্রম। বিধান সরণির লাহা বাড়ির পিছনে শুটিং স্পট। আর এখানেই চলেছিল সোনাক্সির বুলেট রাজার শুটিং। এখানে আসেন প্রসেনজিত-ঋতুপণাও।
কলকাতার বড়বাজার এলাকার সত্য নারায়ন এলাকার কাছে দোকান রাধে রাধে। এদের নিজস্ব প্রোডাক্ট গুরুজি। এখানের শিরাপ অনেকেই বাড়ি নিয়ে যায়। কেশর পেস্তা হোক কিংবা বাটার স্কচ সবারই এককথায় পছন্দ।
ধর্মতলার রাস্তায় গেলেই চোখে পড়বে সিপ অ্য়ান্ড ড্রিঙ্ক। বিভিন্ন্ ফলের মিক্সড জুস কিংবা কাজু,কিশমিশ দেওয়া দই লস্য়ি সবার পছন্দ। তবে যাতায়াতের পথে 'একটু সাইড প্লিজ' মৃদু স্বরে অনুরোধ বেশ অন্য়রকম লাগবে।