- Home
- West Bengal
- Kolkata
- আজই ঘূর্ণাবর্ত রূপ নিতে পারে সাইক্লোন অশনিতে, কলকাতাতেই প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টিম
আজই ঘূর্ণাবর্ত রূপ নিতে পারে সাইক্লোন অশনিতে, কলকাতাতেই প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টিম
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি একটি ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে রয়েছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। রবিবার বিকেলেই তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। কলকাতাতেই প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টি টিম। এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ স্থলভাগের দিকে এগোবে।অভিমুখ হতে পারে দক্ষণ ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূল। মঙ্গলবার সেটি আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। এরফলে সোমবার দুপুর থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। চলুন হাওয়া অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সঙ্গে দেখে নেওয়া যাক পরপর ছবি।
| Published : May 08 2022, 08:06 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
ক্রমশই রহস্যময় হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। রবিবার বিকেলেই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি একটি ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে রয়েছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। অভিমুখ হতে পারে দক্ষণ ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূল।
মূলত রবিবার বিকেলেই ঘূর্ণিঝড় অশনির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে এটির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সময় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটার বেগেও ঝড় হতে পারে, সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। প্রস্তুত এনডিআরএফ-র ১৭ টি টিম। রাজ্যে সাইক্লোন মোকাবিলার জন্য কলকাতাতেই ওই ১৭ টি টিম সজাগ রয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে নবান্নকে।
বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকরা রিকুইজিশন করবেন এনডিআরএফর টিম গুলিকে। কারণ এমনটাই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে।প্রয়োজন মতো রবিবারের পর থেকেই রিকুইজিশন করবেন জেলা শাসকরা।দরকারে নির্দিষ্ট কোন সেন্টারে বা কোন পয়েন্টে ডেকে রাখতে পারেন এনডিআরএফকে।
উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য, ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে ওড়িশা সরকার। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায়, পুরী, গঞ্জম, খুরদা, বালাসোর, কটক, কান্ধামাল-সহ ওড়িশার ১৮ জেলাকে সতর্কবার্তা জারি করেছে সরকার।
আইএমডি-র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ' সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়। অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মে। আরেকটা বর্ষার পর অর্থাৎ অক্টোবার, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে এবং নভেম্বরের মধ্য়ে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।'
নিম্নচাপের প্রভাবে ১০ মে ওড়িয়া উপকূলবর্তী এলাকাসহ বিস্তার্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হবে। সেইসময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫৫-৬৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার।
ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের মধ্য ও পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্রে থাকা মৎসজীবীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশা সরকার বলেছে যে বিপর্যয় মোকাবিলা ও ফায়ার সার্ভিসের দলগুলিকে এখন থেকেই তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এই এলাকা তিনটি গ্রীষ্ণকালীয় ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে এই এলাকা। ২০১৯ সালে ফণি, ২০২০ সালে আম্ফান আর ২০২১ সালে ইয়াস।