- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- চুলের যত্নে এই ১০টি Myths মেনে চলেন অধিকাংশই, জেনে নিন অজান্তে কী কী ভুল করছেন
চুলের যত্নে এই ১০টি Myths মেনে চলেন অধিকাংশই, জেনে নিন অজান্তে কী কী ভুল করছেন
চুলের যত্নে নানা রকম ঘরোয়া টোটকা মেনে চলেন সকলে। চুল পড়ার বন্ধ করতে কিংবা খুশকি দূর করতে কিংবা অকাল পক্কতা দূর করতে নানা রকম টোটকা মেনে চলেন অনেকে। অনেকে চুলের যত্নে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করেন তো কেউ চুলের যত্নে নানান প্রো়ডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন। তবে, এই সবে সব সময় উপকার মেলে এমন নয়। চুলের যত্নে সঠিক টোটকা মেনে চললে তবেই মিলবে উপকার। চুলের যত্নে নানান মিথ রয়েছে। যা মেনে চললে চুলের উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। আজ রইল এমন ১০টি মিথ। যা চুলের যত্নে সকলে মেনে চলেন। এতে চুলের উপকারের বদলে ক্ষতি হয়। জেনে নিন কী কী।
- FB
- TW
- Linkdin
তেল খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই ধারণে সকলের মনে প্রচলিত। ম্যালাসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হয়। এই প্রজাতির ছত্রাক মাথার ত্বকের থেকে তেল শোষণ করে। তাই খুশকি কমে এমন নয়। তাই সকলে যে মনে করেন তেল খুশকি নিয়ন্ত্রণ তা একেবারে ভুল। এবার থেকে খুশকি কমাতে তেল ব্যবহার বন্ধ করুন।
তেল চুল পড়া কমায়, এই কথা অনেকে মনে করেন। সে কারণে প্রতিদিন চুলে তেল দেন অনেকে। আবার অনেকে একদিন অন্তর তেল ব্যবহার করেন। আসলে তেল চুল পুষ্টি জোগায়, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়স টান বা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। জট পড়া প্রতিরোধ করে। চুলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তেল। তবে, তেল মাখলেই চুল পড়া বন্ধ হয় এমন নয়।
চুল পড়া স্বভাবিক বিষয়। এই ধারণা রয়েছে অনেকের মনে। যা একেবারে ভুল। চুল কেরাটিন টিস্যু দিয়ে তৈরি। যা ক্রমবর্ধমান অঙ্গ। নখ যেমন গজায়, ভাঙে আবার গজায়, চুলও ঠিক তেমনটাই। দিনে ১০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। এতে চুলের ঘনত্বে তেমন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু, এর বেশি চুল পড়লে সতর্ক হন।
বায়োটিন চুলের একমাত্র ভিটামিন। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। চুলের পুষ্টির জন্য সাইক্লিক্যাল ভিটামিন থেরাপি কাজ করে। প্রতিদিন ভিটামিন ও খনিজগুলো একটি সিনারজিস্টিক সংমিশ্রণ সরবরাহ করে । এতে চুলের বৃদ্ধি হয়। তাই একা বায়োটিন চুলের বৃদ্ধি ঘটায় এই ধারণা একেবারে ভুল।
ঠান্ডা জলে চুল ধুলে ঝলমল করে। এই কথা মনে করেন অনেকে। চুলের কিউটিকল অক্ষত থাকলে তুল মসৃণ হয়। আর এই কিউটিকলের অক্ষত থাকার সঙ্গে ঠান্ডা জলের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই নরমাল ওয়াটারে চুল ধুয়ে নিন। এতেই মিলবে উপকার। ঠান্ডা জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না সব সময়।
ঘন ঘন চুল কাটলে ভালো বৃদ্ধি হয়। এই কথা অনেকেই মনে করেন। সে কারণে ২ থেকে ৩ মাস অন্তর চুল কাটেন। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। চুলের নির্দিষ্ট বৃদ্ধি আছে। যে জেনেটিক্স কারণের ওপর নির্ভর করে। তাই চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে চাইলে চুলে পুষ্টি জোগান। বারে বারে চুল কাটার প্রয়োজন নেই।
রং করলে চুলে পাক ধরে এই ধারণা অনেকের মনে আছে। সে কারণে চুলে রং দিতে অনেকে ভয় পায়। যা একেবারে ভুল ধারণা। রঙে থাকা কেমিক্যাল থেকে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে থেকে জেনে নিন যে রঙটি বেছে নিয়েছেন, তা আপনার চুলে জন্য উপযুক্ত কি না। তাহলে এমন সমস্যা আর হবে না।
খুশকি মানে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে গিয়েছে এই ধারণা আছে অনেকের। তাই খুশকি দেখা দিলে অনেকে তেল মাসাজ করে থাকেন। এমন কাজ আর করবেন না। ম্যালাসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হয়। তাই সেই ছত্রাক দূর করার চেষ্টা করুন। এতে চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
ড্রায়ারের থেকে তোয়ালে ভালো এই কথা অনেকে মনে করেন। চুল শুকনো করতে ড্রায়ার ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয় এমন নয়। জোড়ে চুল ঘষলে যেমন চুল নষ্ট হতে পারে তেমনই ড্রায়ার ব্যবহারের সময় খুব কাছ থেকে হাওয়া দিলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন। এতে মিলবে উপকার।
চুলের সমস্যার পুরোপুরি নির্মূল হয় না। এই ধারণা একেবারে ভুল। দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ভুল পণ্যের কারণে চুলের ক্ষতি হয়। চুলের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। চুলের যত্নে মেনে চলুন এই বিশেষ টোটকা।