- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- কালার করা চুলের যত্ন নিতে মেনে চলুন এই ১০ টোটকা, জেনে নিন কী ব্যবহার করবেন
কালার করা চুলের যত্ন নিতে মেনে চলুন এই ১০ টোটকা, জেনে নিন কী ব্যবহার করবেন
চুল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট (Experiment) চলে সারক্ষণ। কখনও স্ট্রেইটনিং (Straightening), কখনও কার্ল কখনও হাই লাইটস (High Lights) করে থাকি অনেকে। এছাড়া, ক্লালার, ব্লিচ করে থাকি অনেকেই। এবার কালার করা চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। রইল ১০টি উপায়ের খোঁজ। কালার (Color) করা চুলের যত্ন নিতে মেনে চলুন সহজ কয়টি টোটকা। আজ রইল কালার চুলের (Color Hair) যত্নের হদিশ।
- FB
- TW
- Linkdin
চুল কালার করানোর আগে থেকেই চুল যতটা সম্ভব যত্ন নিন। চুল ময়েশ্চারাইজ করুন। ঘরোয়া উপায় চুলের যত্ন নিন। কালার করার কম করে ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগে চুলে কোনও রকম কেমিকেল ট্রিটমেন্ট করাবেন না। চুল নরম রাখার জন্য ঘরোয়া টোটকা মেনে চলুন।
চুল শক্ত রাখার জন্য কনডিশন করুন। ব্যবহার করু ঘরোয়া টোটকা। ডিম, কলা ও টক দই-এর প্যাক লাগাতে পারেন। একটি পাত্রে ডিমের হলুদ অংশ ও টক দই নিয়ে ভালো করে মেশান। এই প্যাক স্ক্যাল্প থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন।
কলা ও মধু দিয়ে প্যাক বানাতে পারেন। একটি পাত্রে অর্ধেক কলা নিয়ে চটে নিন। এর সঙ্গে মেশান মধু। ভালো করে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। প্যাকটি ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করুন। কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট না করে এই উপায় চুলের যত্ন নিন।
চুল কালার করার পর থেকে ব্যবহার করুন কালার প্রোটেকশন শ্যাম্পু। চুল রঙ করানোর পর যে কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে রঙ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। শ্যাম্পু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কয়টি জিনিস খেয়াল রাখুন। শ্যাম্পুতে চুল নারিশিং করার উপাদান আছে কিনা খেয়াল রাখুন। সঙ্গে দেখে নিন সেটি আপনার চুল হাইড্রেট করবে কি না।
কালার করার পর সপ্তাহে অন্তত ১ বার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চাচম আমন্ড অয়েল ও সম পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে ভালো করে মেশান। এই তেল দিয়ে হট অয়েল মাসাজ করুন।
প্রতিদিন শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কনডিশনার ব্যবহার করবেন। কালার চুলের জন্য উপযুক্ত কনডিশনার কিনে নিন। শ্যাম্পু কররা পর কনডিশনার না দিলে চুল ড্রাই হয়ে যাবে। আর কালার চুল বেশি রুক্ষ্ম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মেনে চলুন এই টোটকা।
কালার চুলে নিয়মিত হেয়ার মাস্ক লাগান। তবে, বাজার চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে, ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ডিম ও মধু দিয়ে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ নিন। তাতে মেশান মধু। ভালো করে মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলে লাগান। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে নিন। কালার চুলের জন্য বেশ উপযুক্ত এই মাস্ক।
কালার করা চুলে যখন তখন স্টাইলি করবেন না। ফ্যাশন করতে গিয়ে স্ট্রেইট, কার্ল প্রায়শই করে থাকি। কার্লার করা চুলে হিট দিলে রঙ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই স্টাইলিস্টের পরামর্শ নিয়ে কালার চুলে হিট ট্রিটমেন্ট করান। তা না হলে, চুলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চুল ধুয়ে ফেলার পর ব্যবহার করুন হেয়ার সিরাম। আধভেজা চুলে কয়েক ফোঁটা হেয়ার সিরাম লাগান। কালার চুলের জন্য উপযুক্ত সিরাম কিনবেন। এতে চুলের ক্ষতি কম হবে। সঙ্গে চুল সব সময় সিল্কি দেখাবে।
চুল সব সময় শুকনো রাখুন। স্নানের সময় শাওয়ার ক্যাপ লাগান। অথবা চুল ধোয়ার পর তা ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে নিন। বর্ষায় চুলের বিশেষ যত্ন নিন। সঙ্গে দূষণ থেকে রক্ষা করুন চুলকে। চুলে কালার করালে চুল ড্রাই হয়ে যায়। তাই এই টোটকা অবশ্যই মেনে চলুন।