- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- বন্যপ্রাণ রক্ষার্থে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস, জেনে নিন দিনটির গুরুত্ব
বন্যপ্রাণ রক্ষার্থে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস, জেনে নিন দিনটির গুরুত্ব
আজ ৩ মার্চ। বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস (World Wildlife Day) । বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূলের প্রতি সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য একটি দিন নির্দষ্ট করা হয়েছে। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদদের রক্ষার্থের গৃহীত হয় নানা রকম পদক্ষেপ। তাদের রক্ষার স্বার্থে পালিত হয় বিভিন্ন আলোচনা সভা। বিশ্বের বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদকূলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করাই হল এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
| Published : Mar 03 2022, 09:44 AM IST / Updated: Mar 03 2022, 09:47 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে জাতি সংঘের সাধারণ পরিষদ তাদের ৬৮ তম অধিবেশন চলাকালীন ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে স্বীকৃত করে। বিভিন্ন প্রজাতির বন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কনভেনশন গ্রহণের দিন নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৮০০০ প্রজাতির বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে গিয়েছে। অনেক সময়, এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এক মিলিয়ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এই সকল প্রজাতিগুলোকে বাঁচাতে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস (World Wildlife Day) পালন করা হয়। সেই থেকে ৩ মার্চ দিনটি বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবছরই নির্দিষ্ট থিম নির্ধারণ করা হয় বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-এ। এবছরের জন্য ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মূল প্রজাতি পুনরুদ্ধার’-র থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, এই থিমটি নির্ধারণ করার পিছনে রয়েছে বিস্তর কারণ। জানা গিয়েছে, এই থিমটি (Themes) বাছাই করার পিছনের সবচেয়ে বড় কারণ হল বিপন্ন কিছু প্রজাতির বন্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণের ওপর আলোকপাত করা।
প্রতিবছর ৩ মার্চ অর্থাৎ বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে (World Wildlife Day) বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখিদের বাঁচানো প্রসঙ্গে নানান আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখিদের বাঁচানোর রাস্তা খুঁজে বের করার হয়। নতুন পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সেই অনুসারে কাজ হয়। তাঁদের রক্ষার্থেই নানা কর্মসূচি পালন হন।
প্রতিবছর ৩ মার্চ, বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে বন্যপ্রাণীদের কোনও না কোনও সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ হয়। সেই মতো কাজ করা হয় বছর ভর। বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা হয়। সেই অনুসারে পালিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচী।
পৃথিবীতে অংখ্য প্রজাতি রয়েছে। এবং প্রত্যেকটিই পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মরুভূমি, তৃণভূমি, জঙ্গল ও অন্যান্য পরিবেশে থাকে তারা। বর্তমান আধুনিকতার দৌড়ে আমরা টেকনোলজি নির্ভর হয়ে গিয়েছি। সে কারণেই হোক কিংবা পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য এই সকল বন্যপ্রাণী নানা রকম সমস্যায় পড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তেমনই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ। তেমনই সমস্যার মুখে বহু প্রজাতি। এই সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীদের রক্ষার্থে নতুন পদক্ষেপ গৃহীত হয় প্রতিবছর।
এছাড়াও, শিকার, চোরাচালনের মতো বহু কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বন্যপ্রাণী ও বিভিন্ন উদ্ভিদ। যা খারাপ প্রভাব ফেলছে আমাদেরই পরিবেশের ওপর। আমাদের কার্যকলাপের জন্যই সমস্যায় এই সকল প্রাণী।
আফ্রিকান বন্য হাতি, সুন্দর বনের বাঘ, ডলফিনের মতো প্রাণী, গুরাংগুটান-এর মতো একাধিক প্রাণীরা সমস্যার মুখে। বিলুপ্ত হতে চলেছে বহু প্রজাতি। এই সকল বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন পরিবেশবীদেরা। বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
২০১৫ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ে মনযোগী হওয়ার এখনই সময়। এর পরের বছর ২০১৬ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, বন্যপ্রাণীর ভবিষ্যত আমাদের হাতে। এই বছর উপ প্রতিবাদ্য বিষয় ছিল, হাতিদের ভবিষ্যত আমাদের হাতে। ২০১৭ সালে গৃহীত প্রতিপাদ্য বিষয় হল, অনুজদের কথা শুনা। ২০২০ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, পৃথিবীর অস্থিত্বের জন্য প্রাণীকূল বাঁচাই।