- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- রঙ্গোলি নাকি আলোক সজ্জা- দেখে নিন আলোর উৎসবে ঘর সাজাতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন
রঙ্গোলি নাকি আলোক সজ্জা- দেখে নিন আলোর উৎসবে ঘর সাজাতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন
প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে পালিত হয় ধনতেরাস। কালীপুজোর আগের দিন পালিত হয় এই উৎসব। তিথি অনুসারে, ধনতেরাস পড়েছে ২৩ অক্টোবর। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি শুরু হচ্ছে ২২ অক্টোবর। আর তিথি শেষ হবে ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে। ধন্বন্তরী দেবের পুজো করার শুভ সময় রবিবার ২৩ অক্টোবর ৫.৪৪ থেকে ৬.০৫ পর্যন্ত। তিথি অনুসারে এবছর কালী পুজো অনুষ্ঠিত হবে ২৪ অক্টোবর। সন্ধ্যা ৪.৫৭ মিনিটে পড়ছে অমাবস্যা। অমাবস্যা ছাড়বে ২৫ অক্টোবর দুপুর ৪.২৬ মিনিট পর্যন্ত। এই আলোর উৎসবে সকলেই ঘরের ভোদ বদলে ব্যস্ত। রঙ্গোলি নাকি আলোক সজ্জা- দেখে নিন দিওয়ালিতে ঘর সাজাতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
- FB
- TW
- Linkdin
ফুলের সজ্জা করতে পারে। দীপাবলির আগে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন বাড়ি। ফুলের সুবাসে ঘরের পুরো পরিবেশ বদলে যাবে। দরজার সামনে ফুল দিয়ে রঙ্গোলি করতে পারেন। তেমনই ফুলদানিতে রাখতে পারেন রকমারী ফুল। এতেও ধরে আসবে নতুন লুক।
মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন বাড়ি। বিভিন্ন মাপের ও বিভিন্ন নকশার মোমবাতি কিনুন। এমন মোমবাতি প্রবেশ দ্বার, ঠাকুর ঘরে তো রাখবেনই সঙ্গে জানলার সামনে রাখতে পারেন। এতে ঘর দেখাবে আকর্ষণীয়। এমনিতেও এই সময় ১৪ বাতি দিয়ে থাকেন অনেকে। এবার সেই মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজিয়ে ফেলুন।
মাটির প্রদীপ দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। এই সময় অনেকেই রঙ্গোলি আঁকেন। তাহলে তার সামনে প্রদীপ দিন। কিংবা একটি একটি পেতলের পাত্রে জল নিয়ে তাতে ফুল রাখুন। এবার এর এতে প্রদীপ ভাসিয়ে নিন। এমন ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে পারেন ঘরে। নজর কাড়বে সকলের।
প্রধান দরজার সাজিয়ে ফেলুন ধনতেরাসের দিন। এই দিন আমপাতার তোরণ দিয়ে সাজান প্রধান দরজা। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তির আগমন হবে। মা লক্ষ্মী প্রবেশ করবে আপনার গৃহে। ধনতেরাসের দিন রুপোর স্বস্তিক বা লক্ষ্মীর পায়ের চিহ্ন আটকান প্রধান দরজায়। এই দিন এমন রুপোর স্বস্তিক বা লক্ষ্মীর পায়ের চিহ্ন কিনে আটকে দিন। এতে মা লক্ষ্মীর প্রবেশ ঘটবে আপনার গৃহে।
শো পিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। ধাতব শোপিস কিনতে পারেন। হল ঘরে, শোওয়ার ঘরে, বারান্দায় কিংবা বাড়ির অন্যান্য অংশে রাখতে পারেন এমন ধাতুর তৈরি শোপিল। বিভিন্ন নকশার শো পিস পাওয়া যায়। পাখি, ঘোড়া, কোনও আদিবাসী মহিলার শো পিস কিনতে পারেন। কিংবা কিনে ফেলুন গণেশের মূর্তি বা শোপিস। কিনতে পারেন স্বস্তিক চিহ্ন।
ঝাড়বাতি দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন বাড়ি। প্রদীপের নকশরা করে ঝাড়বাতি কিনতে পারেন। কিংবা কিনে ফেলুন পছন্দসই কোনও ডিজাইন। বসার ঘরে লাগাতে পারেন এমন ঝাড়বাতি। তাছাড়া ছোট মাপের ঝাড়বাতি কিনে তা ঠাকুর ঘরেও লাগাতে পারেন। ঘরের মাপ বুঝে ঝাড়বাতি কিনবেন। এতে বদলে যাবে বাড়ির লুক। দিওয়ালির আগে ঝাড়বাতিতে সাজিয়ে ফেলুন আপনার গৃহ।
রঙ্গোলি দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন আপনার বাড়ি। দিওয়ালিতে রঙ্গোলি আঁকার চল প্রচলিত। বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করে এমন নকশা তৈরি করা হয়। বাড়ির প্রধান প্রবেশ দ্বারে আঙুল রঙ্গোলি। কিংবা বাড়ির অন্য কোনও স্থানে। এতে ঘর দেখাবে অন্য রকম। এই রঙ্গোলির চারদিকে প্রদীপ দিয়ে নকশা করুন। এতে ঘর দেখাবে অন্য রকম।
টুনি লাইট দিয়ে নকশা করতে পারেন। অধিকাংশই বাড়ির বাইরে লাইট লাগান। এবার ঘরের মধ্যে করুন নকশা। টুনি লাইট দিয়ে বসার ঘররে জানলারে সামনে নকশা করেত পারেন। কিংবা সাজিতে ফেলতে পারেন ঠাকুর ঘর। এমনকী, বাড়ির কোনও কোণা বেছে নিয়ে পারেন। সেখানে আলো দিয়ে ডেকরেশন করুন।
ঘর সাজাতে গুরুত্ব দিন সর্বত্র। শোওয়ার ঘরে রঙিন চাদর পাতুন। এমন কোনও ডিজাইনের চাদর কিনবেন, তা যেন রঙিন হয়। বাউলের ডিজাইন, ফুলের নকশা, আলপনা ডিজাইনে মতো নকশা বেছে নিন। তবে, কোনও কার্টুন কিংবা পুতুল ডিজাইনের নকশার চাদর না পাতাই ভালো। এই সময় ফুলের নকশা বেছে নিন।
সব শেষে কুশন কভার, টেবিল ক্লথে রঙের ছোঁয়া দিন। বাড়ির ভোল বদল করলে নজর দিতে হবে সর্বত্র। খাটে যেমন পাতবেন নতুন ডিজাইনের চাদর, তেমনই কুশন কভার, টেবিল ক্লথ বদল করতে ভুলবেন না। পুজোর কথা মাথায় রেখে কুশন কভার, টেবিল ক্লথের নকশা বেছে নেবেন। এই সময় রঙিন ও সুতির কভার কিনুন।