স্ক্যাল্পে ফাংগাস ইনফেকশন,বর্ষায় চুলের যত্নে রইল ঘরোয়া ম্যাজিক
- FB
- TW
- Linkdin
বৃষ্টিতে চুল ভিজে গেলে বাড়ি এসে চুল ভাল করে ধুয়ে নিন। নয়তো বৃষ্টির জল মাথায় বসে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাছাড়াও চুলে জট বাধতে পারে।
বর্ষাকালে আবহাওয়া গুমোট থাকায় চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এই ঘাম থেকেই খুশকি ও চুল ঝরা শুরু হয়। তাই চুলের গোড়া সবসময় শুকনো রাখুন।
শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল গরম করে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে পরের দিন সকালবেলা শ্যাম্পু করে নিন।
বর্ষাকালে আবহাওয়া আর্দ্র থাকার জন্য চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সপ্তাহে তিন দিন অবশ্যই শ্যাম্পু করুন। যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে তাদের যেন আরও বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এই বর্ষাকালে। কারণ খুশকির জন্য যে শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় তা অনেক বেশিই রুক্ষ হয়। শ্যাম্পুর সঙ্গে কিছু ঘরোয়া উপাদান মিশিয়ে নিলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, শ্যাম্পুকেও মাইল্ড করবে।
সপ্তাহে ৩ বার করে চুলে প্যাক ও গোলাপজল এক সাথে মিক্সড করে শ্যাম্পুর পর চুলে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এছাড়া টক দইয়ের সঙ্গে একটি পাতিলেবু ও নিমপাতার রস লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার করতে পারেন।
ভেজা চুল কখনওই বেধে রাখবেন না। ভেজা চুল বেধে রাখলে মাথা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। ভেজা চুলে শুয়ে পড়লে জল ও ঘাম জমে সেখান থেকে খুশকি, উকুনের মতো সমস্যা দেখা যায়। চুলের ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এই সময়টায় হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভাল। যতটা পারবেন এড়িয়ে যাবেন। তবে শ্যাম্পু করার পর চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাবেন। এই সময় চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই শ্যাম্পু করার সময় কন্ডিশনার মাস্ট।
চুলের জন্য অ্যালোভেরা ভীষণ কার্যকরী। অ্যালোভেরার রস সপ্তাহে ২ -৩ বার লাগালে নিজেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
চুলের জন্যে মেথি খুব উপকারী। সারারাত একটি পাত্রে মেথি ভিজিয়ে নিয়ে সকালে জলটা ছেকে নিন। তারপর শ্যাম্পু করার পর সবার শেষে ওই মেথি ভেজানো জলটা দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। এতে চুল পড়া, খুসকি দূর হবে এর পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
বর্ষাকালে চুলের স্ক্যাল্প খুব তেলতেলে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে পাতিলেবুর রস মাখলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এই সময় চুলে কালার করা ঠিক নয়। যতটা সম্ভব কসমেটিক প্রোডাক্ট থেকে দূরে থাকুন। এতে চুল ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে।