কালীপুজো মানে বাঙালির মনে এই আবেগগুলি জড়িয়ে থাকবেই
| Published : Oct 26 2019, 12:48 PM IST
কালীপুজো মানে বাঙালির মনে এই আবেগগুলি জড়িয়ে থাকবেই
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
18
দীপাবলির প্রস্তুতি মানেই আগে থেকেই ভিড় বাজির দোকানে, তারপর চলে সেগুলি রোদে দেওয়ার পালা। আবার ভাই বা বোনেদের বাজির ভাগ থেকে খানিকটা লুকিয়ে নিয়ে নিজের ভাণ্ডার পোক্ত করা। এসব শুরু হয়ে যায় পুজোর আগে থেকেই।
28
কালীপুজো আসার আগে থেকেই বাড়িতে লাইট দিয়ে সাজানোর প্রস্তুতি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে অঘোষিত প্রতিযোগীতা প্রস্তুতি চলতে থাকে কয়েক দিন আগে থেকেই। তারপর কখন সন্ধ্যে হবে কেমন দেখতে লাগবে বাড়িটিকে। আলোয় ঝলমলে বাড়ির দিকে তাকিয়ে মেলে মানসিক শান্তি এই শুধু বাঙালিই বুঝবে।
38
কালীপুজোর প্যাণ্ডেল নিয়ে সারারাত জেগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সেই সঙ্গে ঠাণ্ডা লাগাটা ফ্রী। এই নিয়ে বাড়িতে মায়ের বকুনি। এগুলো প্রায় প্রতি বছর নিয়মের মধ্যে পড়ে গিয়েছে।
48
ভূত চতুর্দশীতে নিয়ম করে ১৪ শাক খাওয়া। ইচ্ছে না থাকলেও মায়ের বকার ভয়ে কোনও রকমে গিলে নেওয়া আরকি। তারও আগে চলত বড়দের সঙ্গে বাজারে গিয়ে বেছে বেছে ১৪ শাক কেনা। তাতে ১৪ টা শাক আছে কি না তা বার বার খতিয়ে দেখা।
58
ভূত চতুর্দশীর দিন অপেক্ষা থাকত কখন সন্ধ্যে হবে। বাড়ি জুড়ে প্রদীপ বা মোমবাতি লাগানোর সে কী ধুম। মোমবাতি লাগানোর পরেই কোনটা পড়ে যাচ্ছে কোনটা আবার বেঁকে যাচ্ছে। ভাই বোনেদের মধ্যে কো সবথেকে নিঁখুত ভাবে মোমবাতি বা প্রদীপ লাগাতে পেড়েছে, এই নিয়ে প্রতিযোগীতা। তারপর চলত বাজিগুলো ঠিক ঠাক মত রোদ পেয়েছে কি না তার টেস্টিং। এই সুযোগে একটু বাজি পুড়িয়ে নেওয়া।
68
পুজোর দিন বাড়িতে যাঁদের পুজো হয় তাদের বিষয় আলাদা, আর যাদের না হয় পুজো দিন দুপুরে খাসির মাংস আর গরম গরম ভাত না হলে কালীপুজো পুরও মাটি। আর অপেক্ষা কখন সন্ধ্যে হবে আর বাজি পোড়ানো শুরু হবে।
78
বাড়ির বড়দের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেড়নো। ঠাকুর দেখে খাওয়া-দাওয়া। আর সেই সঙ্গে ভাইফোঁটার তোড়জোড়।
88
ভাইদের জন্য স্পেশাল কী মেনু হবে, কী উপহার দেওয়া হবে, ভাই ফোঁটা উপলক্ষ্যে কী উপহার পাওয়া হল, তা খুলে দেখা। সকলে মিলে খাওয়া-দাওয়া আর সেই সঙ্গে আড্ডা।