- Home
- Lifestyle
- Lifestyle Tips
- অনলাইন ক্লাস ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলছে শিশুদের মানসিক বিকাশে, জানাচ্ছে সমীক্ষা
অনলাইন ক্লাস ব্যাপক ভাবে প্রভাব ফেলছে শিশুদের মানসিক বিকাশে, জানাচ্ছে সমীক্ষা
- FB
- TW
- Linkdin
লকডাউনের ফলে বাচ্চাদের মধ্যে ডিজিটাল গ্যাজেটের ব্যবহার বেড়েছে। এর সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুদের চোখ এবং মস্তিষ্ক।
অনেক শিশুদের মধ্যে স্ক্রিন সংযোজন ভাষা এবং কথা বলার প্রক্রিয়াগুলির বিকাশকে বাধা দিতে পারে। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, আইপ্যাড এবং ল্যাপটপের কারণে ভারতীয় শিশুদের মধ্যে মানসিক বিকাশ প্রভাবিত হচ্ছে।
তাই এই সমস্ত গ্যাজেটগুলি ব্যবহারের সময় স্ক্রিনটি চোখের খুব সামনে থেকে ব্যবহার করতে দেবেন না এর ফলে বাচ্চার চোখের দৃষ্টি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
শিশুরা যত এই ডিজিটাল দুনিয়ায় বেশি সময় ব্যয় করবে, তাদের সৃজনশীলতা হ্রাস পাবে। এটি তাদের মানসিক বিকাশের পক্ষে ভাল নয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি একটি শিশুপ্রতিদিন একটি অনলাইন ক্লাস করে তবে তার সঙ্গে কিছুটা সময় গ্যাজেটবিহীন সৃজনশীল গেমস বা ঘরের কাজও করতে হবে যাতে তার মস্তিষ্কের অনুশীলনও হয়।
পাশাপাশি বাচ্চাদের সঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইসের খারাপ প্রভাবগুলি ব্যাখ্যা করুন। সাধারণত ডিজিটাল গ্যাজেটগুলির প্রতি বাচ্চাদের খুব আকর্ষণ থাকে এবং কিছু বাচ্চাদেরও তাদের প্রতি ঝোঁকও থাকে।
তাই শিশুদের গ্যাজেট-এর প্রতি নেগেটিভ প্রভাবগুলি ব্যাখ্যা করা উচিত, তবে মনে রাখবেন যে তারা শিশুটিকে কোনওভাবেই বকা বা মারা উচিৎ নয়। অন্যথায় এটি তার আচরণেও খারাপ প্রভাব ফেলবে। আপনাকে এক্ষেত্রে তাকে ভালবেসে বোঝাতে হবে তবেই এই বিষয়ে দ্রুত উন্নতি হবে।
এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ডিজিট্যাল স্ক্রিনের সামনে বসে থেকে তার ঘুমের সময়ের জন্যও পর্যাপ্ত যত্ন নিতে হবে। বাচ্চাদের কাঁধ, পিঠ এবং চোখের ব্যথা থাকলে পিঠে এবং কাঁধে তেল লাগিয়েও ম্যাসাজ করে দিতে পারে।
যে গ্যাজেটটি ছোটরা ব্যবহার করছে, সুরক্ষার জন্য তাতে অ্যান্টি-লেয়ার আই গার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য, ব্লু-রে গ্লাসও নেওয়া যেতে পারে। এটি শিশুদের চোখের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাব কম করতে সাহায্য করবে।