তিনটি শ্লোক যা দিন-রাত আওড়ালে মিলতে পারে শিব-এর আশীর্বাদ
| Published : Feb 21 2020, 09:19 PM IST
তিনটি শ্লোক যা দিন-রাত আওড়ালে মিলতে পারে শিব-এর আশীর্বাদ
Share this Photo Gallery
- FB
- TW
- Linkdin
17
মহাশিবরাত্রির রাতে শিব-এর বর পেতে এই শ্লোকটি উচ্চারণ করুন- গিরিশ্যাম ঘন্যাশ্যাম গলে নীলাভারানম, গাভেন্দ্রধিরোদেম গুনাতিত্রোপম, ভাবম ভসাভারম ভস্মানা, ভুস্থিতানগাম, ভাবানি ক্লাতরাম ভাজে পঞ্চভাকত্রম।
27
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- আমি পাঁচমুখের একটিকে পূজিত করি, যার ভবানী রয়েছে (বিশ্বের মা বলে পূজিত তিনি) তার স্ত্রী-র জন্য, পর্বতের ভগবান, সমস্ত ছোট দেবাদি-দেব যেমন গণেশ, এঁদের ভগবান বলেও পরিচিত, ঠোঁটে নীলের আভা, যাঁড়ের পিঠে অধিষ্ঠিত, যাঁর আচার-আচরণ সমস্ত গুণকেও ছাপিয়ে যায়, যে কোনও বস্তুর সৃষ্টি তাঁর অংশ থেকে, যার চেহারাটা সারারক্ষণ ছাই-ভস্মে মাখা থাকে।
37
শ্লোক- ২-- ভগরথাভিভা সম্প্রিকতাউ ভগরথাহ প্রতিপাতায়ে, জগত পিতারাউ ভন্দে পার্বতীপরমেশ্বরআউ। রঘুবংশ ১.১
47
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- আমি বিশ্বপিতাকে আরাধ্য করি, ভগবান শিব এবং মাতা পার্বতী, যেমন কথার সঙ্গে জ্ঞানকে আলাদা করা যায় না, তেমনি শিব ও পার্বতী-র সম্পর্কেও আলাদা করা সম্ভব নয়, এই শ্লোকে কালীদাস তাঁর দেব-দেবী হিসাবে পরিচিত মহাদেব ও পার্বতী-র কাছে অনুরোধ রেখেছেন যাতে তাঁকে কথা ও জ্ঞানের ফারাকের মানেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
57
শ্লোক-৩-- করপুরা-গৌরম করুন্না-অভাতারাম সামসারা-সারাম ভূজাগেলা-ইন্দ্র-হারাম, সাদা-বসন্তম হরদায়া-আরাভিন্দে ভাবাম ভবানী-সাহিতাম নামামি।
67
এই শ্লোকের বাংলা অনুবাদ- ধবধবে সাদা যেন চারিদিকে জ্যোতির নির্গমন হচ্ছে, করুণা-র এক অমোঘ দৈব আকর্ষণ , বিশ্বচরাচর জুড়ে তাঁর ব্যপ্তির একটা অনুভূতি, যার গলার মালাটা যেন বলে দেয় তিনি এই চরাচরের প্রতীক, হৃদয়ের অন্তরে যে পদ্মফুলটা ফুঁটে থাকে সেখানেই তাঁর বাস, আমি শিব এবং শক্তি-কে একসঙ্গে নতমস্তকে অভিবাদন জানাই।
77
মহাশিবরাত্রির শুভেচ্ছা