- Home
- World News
- Pakistan News
- ইমরান এখন জিনপিং-এর শাগরেদ, পাক রাজনীতি-অর্থনীতি সবই তুলে দিচ্ছেন চিনের হাতে
ইমরান এখন জিনপিং-এর শাগরেদ, পাক রাজনীতি-অর্থনীতি সবই তুলে দিচ্ছেন চিনের হাতে
ক্ষমতায় আসার আগে ইমরান খান স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন 'নয়া পাকিস্তান' গড়ার। কিন্তু, আদতে তা পাক সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনগণের স্বাধীনতা বিনিময়ে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর স্বপ্নপূরণ করা ছাড়া কিছুই নয় বলে অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি এক পাক সংবাদমাধ্যমেই দাবি করা হয়েছে, চিন সিপিইসি, অর্থাৎ চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করেছে।
| Published : Jul 28 2020, 10:52 AM IST / Updated: Aug 10 2020, 12:46 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
)
জানা গিয়েছে পাকিস্তানের গদর বন্দরে বিনিয়োগ করার দিন থেকেই চিন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলির চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছিল। নওয়াজ শরিফ ক্ষমতায় থাকাকালীন, পাক সরকার চিনের এই ধরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ইমরান খান তা গ্রহণ করেছেন। অনেকটা এখন যেমন নেপালে করছেন কে পি শর্মা ওলি।
)
২০১৬ সালে ইমরান খান সরকারের সঙ্গে চিন সিপিইসি নিয়ে এমন একটি চুক্তি করেছে, যার ফলে সিপিইসি-র কাজ পাকিস্তানে চললেও, তার পরিকাঠামো এবং বিদ্যুৎ-উত্পাদন প্রকল্পগুলির নিয়ন্ত্রণ সরাসরি বেজিং-এর হাতে চলে গিয়েছে। এই চুক্তি এতটাই গোপনীয় যে অর্থ সম্পর্কিত পাক সেনেটের স্থায়ী কমিটিকেও তা দেখানো হয়নি।
)
কেন এই গোপনীয়তা? আসলে এর পিছনে রয়েছে বিআরআই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০০ সালের মধ্যে বিশ্বের বাজারের অর্থনীতির উপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কায়েমের বৃহত পরিকল্পনা। শি জানেন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ চিন লাভবান হলেও সহযোগী দেশগুলির লাভের লাভ কিছু হবে না। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ দেশের মানুষ তাঁর কৌশল জেনে গেলে এই চিনা স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
)
নয়া চুক্তি অনুসারে সিপিইসি কর্তৃপক্ষই সিপিইসি প্রকল্প সম্পর্কে সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আর এই সিপিইসি কর্তৃপক্ষ তৈরি হবে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদিত পাক প্রতিনিধিরা। এই কর্তৃপক্ষের হাতে পাকিস্তানের যে কোনও সরকারি পদাধিকারীর বিরুদ্ধে সিপিইসি সংক্রান্ত কোনও তদন্ত করার, এমনকি জরিমানা আরোপের সাংবিধানিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই পদাধিকারীদের মধ্য়ে পাক রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী-ও রয়েছেন।
)
অর্থাৎ ইমরান খান-ও, শি জিনপিং-এর আদেশ মানতে বাধ্য। তাহলে কেন ইমরান এই প্রস্তাব মানলেন? এই ক্ষেত্রে দেখতে হবে বিআরআই প্রকল্পের জন্য চিন কোন দেশগুলিকে বেছে নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে চিন এমন সব দেশের সঙ্গেই এই প্রকল্পগত চুক্তি করেছে যারা ইতিমধ্যেই ঋণের জালে জর্জরিত। পাকিস্তানেরও অর্থনীতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে গত কয়েক বছরে। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে ক্ষমতায় থাকার এছাড়া দ্বিতীয় পথ ছিল না ইমরানের।
)
পাক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এই অবস্থায় মনে করছেন সিপিইসি-র উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম ছিল চিনের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ। শি জিনপিং প্রশাসন পাকিস্তান এবং তাদের মতো অন্যান্য দরিদ্র অর্থনীতির দেশগুলির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে করায়ত্ত্ব করতে চাইছে। একবিংশ শতাব্দীতে নতুন রূপে জারি করতে চাইছে ঔপনিবেশিকতা। আর তার প্রথম শিকার পাকিস্তান।