- Home
- World News
- Pakistan News
- ভারতের 'উলট পুরাণ' প্রতিবেশী রাষ্ট্রে, কোন জাদুতে ইমরানের দেশ হারাল করোনা মহামারিকে
ভারতের 'উলট পুরাণ' প্রতিবেশী রাষ্ট্রে, কোন জাদুতে ইমরানের দেশ হারাল করোনা মহামারিকে
- FB
- TW
- Linkdin
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারি দশ মাসে পা দিলেও পাকিস্তানে এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ছ’মাস।
প্রথমদিকে পাকিস্তানে হু হু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। তা নিয়ে ইমরান খান প্রশাসনের তুমুল সমালোচনা করেছিল সে দেশের বাসিন্দারাই।
গত কয়েক মাসেই করোনা সংক্রমণের কারণে বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ইমরান খানের দেশের। যার ফলে মাঝপথেই লকডাউন তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ সরকার।
এমনিতেই পাকিস্তানের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দুর্বল। স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দও নগন্য। যার ফলে করোনা আবহে শহরাঞ্চলের ভিড় ও হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া রোগী দেখে বিস্মিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০-এরও নিচে রয়েছে। সে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের নিচে।
পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে হ্রাস দেখা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মনে বহু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের যক্ষ্মা, পোলিও, হেপাটাইটিসের মতো সংক্রমক রোগগুলি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বের দরবারের সমালোচিতও হয়েছে তারা। সেই দেশেই এবার মাত্র ছমাসের মধ্যে মহামারীকে রুখে দিয়ে রীতিমতো নজির গড়ে ফেলেছে।
কীভাবে মাত্র ছমাসের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকালো পাকিস্তান। সে দেশের তরফে একাধিক কারণ দেখানো হয়েছে। যদিও তার কোনওটাই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলে দাবি করছেন চিকিৎসক ও রোগ বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, সে দেশে যুবশক্তি বেশি। ফলে মহামারী তাঁদের কাবু করতে পারেনি। যদিও এই দেশে তরুণদের তুলনায় বয়স্কদেরই কাবু করছে করোনাভাইরাস।
কারোর মতে দেশের আবহাওয়ার কারণেই এই মহামারি বেশিদিন টিকবে না। গরম ও আদ্রতাপূর্ণ জলবায়ুর জন্য স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে বলেও কেউ কেউ দাবি করছেন। যদিও গরম বা আর্দ্রতা মহামারীর সংক্রমণ রুখতে পারে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানে না।
পাকিস্তানের মহামারি প্রসঙ্গে লাহোরের সার্ভিস হাসপাতালের চিকিৎসক সলমন হাসিব বলেন, “কীভাবে এই সংক্রমণের হার স্তিমিত হল, তা নিয়ে আমরাই ধন্দে রয়েছি। আমাদের কাছে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই।”
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ একশোর কিছু বেশি থাকছে। পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন সীমিত সংখ্যার টেস্টিং হচ্ছে পাকিস্তানে। তাই সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। লাহোরে হওয়া টেস্টিং-এ দখা গিয়েছে যে শহরের জনসংখ্যার মাত্র সাত শতাংশ করোনায় আক্রান্ত। গোটা পাকিস্তানে হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য বলছে সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে।